নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়ার পরিবারের লোকজনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে সাংবাদিককে উদ্ধার করে। হামলায় আহত হয়েছেন সাংবাদিকের ছোট ভাই হাফেজ মাওলানা নাজিজুল হক (৩১)। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কৈগাড়ী গ্রামের সোনারপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ঘটনার আগের দিন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বহিরাগত অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সাংবাদিকের বাড়ির সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করে। বাড়ির ভেতর থেকে কেউ সাড়া দেননি। শুক্রবার সকালে কৈগাড়ী সোনারপাড়ার রহমতুল্লাহর দুই ছেলে রহিম, গোলামের নেতৃত্বে এখলাছুর, আজিজুল, আতিকুল ও সিংড়ার বেওলা এলাকায় আলহাজসহ বহিরাগত ১০/১৫ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র হাতে সাংবাদিকের বাড়ির রাস্তায় ঘুরাঘুরি করছিল। এমন সময় সাংবাদিকের ছোটভাই হাফেজ নাজিজুল বাড়ি থেকে বের হওয়া মাত্রই তার ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। ছুরিকাঘাত করলে তার হাতের আঙুলে লেগে কেটে যায়। ভাইকে বাঁচাতে আরেক ভাই নুরনবী এগিয়ে গেলে তাকেও ধাওয়া করে। পরে সাংবাদিকের ওপর হামলার জন্য বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় দেশীয় অস্ত্রধারী হামলাকারীরা। তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া। তিনি জাতীয় দৈনিক ভোরের ডাক ও দৈনিক পুনরুত্থান পত্রিকায় কর্মরত আছেন এবং নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক।
সুত্রমতে, ওই সাংবাদিক বগুড়া-৪ আসনের আসন্ন সংসদ উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির 'লাঙল' মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী। লাগাতার মিথ্যাচার, অপপ্রচার, অপহরণের চেষ্টাসহ নানা ঘটনায় থানায় রহিম ও গোলামদের বিরুদ্ধে গত ২৮ নভেম্বর জিডি (নং ১১৫৯) দায়ের করেছেন ওই সাংবাদিক। এর জের ধরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে সাংবাদিকের পরিবার। তবে ৯৯৯ থেকে সাংবাদিককে কল করে ঘটনার পরবর্তী খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।
থানার উপ-পরিদর্শক এটিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তারা সাংবাদিকের ওপর হামলা করতে পারেনি, তার ছোট ভাই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন জেনেছি।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি থানায় নেই, দু একদিন পর এসে বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।