নন্দীগ্রামে শিশুকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা

🕧Published on:

 : বগুড়ার নন্দীগ্রামে মুনিম হোসেন (৪) নামের এক শিশুকে হত্যার পর লাশ গুম করতে রাখা হয় বাঁশ ঝাড়ের টয়লেটের কূপে। বাড়ির বাইরে খেলাধুলা করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার আধাঘন্টার ব্যবধানে শিশুটি খুন হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, মাথার পেছনে এবং কপালে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

নন্দীগ্রামে শিশুকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা



 পারিবারিক শত্রুতার কারণে শিশুটি হত্যাকন্ডের শিকার হয়েছে কিনা! এমন মন্তব্য স্থানীয়দের।

 

বুধবার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের বাঁশ ঝাড়ে টয়লেটের কূপ থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের ওই শিশুর বাবা ইদ্রিস আলী ভেবরকুড়ি মিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা সুত্রে জানা যায়, শিশু মুনিম বুধবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ির বাইরে খেলাধুলা করতে যায়। কিছুক্ষণ পর সকালের খাবার খাওয়ানোর জন্য বাড়ির বাইরে গিয়ে শিশু মুনিমকে ডাকাডাকি করেন মা মনোয়ারা বেগম। 

জনৈক জাহিদুলের বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ে খেলাধুলা করছে কিনা দেখতে যায় শিশুটির মা। বাঁশ ঝাড়ে একটি টয়লেটের কূপের ঢাকনা সরানো দেখেই সেখানে গেলে কূপের মধ্যে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। 

শিশুর মায়ের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে দেখেন, কূপের মধ্যে নীচের দিকে শিশুটির মাথা এবং ওপরের দিকে পা অবস্থায় লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি হেফাজতে নেয়। 

এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শিশুটির মাথার পেছনে এবং কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যার পর লাশ গুম করতে শৌচাগারের কূপে রাখে। 



শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

0comments

মন্তব্য করুন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।