জামালপুর সংবাদদাতা: জামালপুরের মেলান্দহ পৌর কাউন্সিল মমিনুল ইসলাম (৫০)’র মরদেহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পাওয়া গেছে।
মমিন মেলান্দহ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তিনি শ্যামপুর এলাকার দিঘলবাড়ি গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে। মমিনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় চলছে শোকের মাতম।
নিহত মমিনের ছোট ভাই ভানু মিয়া এবং ফুফাত ভাই লাল মিয়া জানান-তিনি গরম মশলার ব্যবসা করতেন। ৪ দিন আগে মমিন হলুদের বড় চালান আনার জন্য বাড়ি থেকে বের হন।
শোকার্ত মেলান্দহ পৌরমেয়র আলহাজ শফিক জাহেদী রবিন জানান-মমিন প্রায়ই মালামাল কেনার জন্য ঢাকা-চট্রগ্রাম-কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে গমন করতেন।
আমাদের ধারণা খুব কাছের লোক কিংবা মালামাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বহনকারি ট্রাকের লোকজনও এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে। মালবহনকারি ট্রাকের সন্ধান পেলে অথবা মোবাইল ট্রেকিং-এ হয়ত বিস্তারিত পাওয়া যাবে।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ত্রি-নাথ সাহা জানান-২০ মার্চ বেলা ১১টার দিকে জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের গাংরা এলাকায় ঢাকা-চট্রগ্রাম (ঢাকা মুখ) হাইওয়ে রোডের একটি জলাশায়ের পাশে ঝুপড়ি থেকে অজ্ঞাত মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। তার হাত-পা বাঁধা এবং মুখে স্কচটেপে মোড়ানো। পরণে ছিল সাদা পায়জামা ও পাঞ্জাবি।
ধারণা করা হচ্ছে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পূর্বক পরিচয় সনাক্ত করা হয়। হত্যার মুটিভ জানতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নেমেছে।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, সুরত হাল রিপোর্ট তৈরির পর মরদেহ পোস্টমর্টেমে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। ওদিকে মৃতদেহ আনার জন্য স্বজনরা কুমিল্লার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।