সেবা ডেস্ক: প্রতিটি সম্পর্কে উত্থান-পতন থাকে। আর বন্ধুত্ব হলো এমন একটা সম্পর্ক যা নানা দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। আমরা আমাদের বন্ধুদের সাথে যতই ঝগড়া করি না কেনো তাকে ছাড়া আমাদের এক মুহূর্তও চলে না।
ঝগড়া করে আমরা আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে অনেক দিন কথা বলি না। অভিমান করে বসে থাকি। এতে দুইজনেই কষ্টে থাকি।
এই কষ্টে থাকার চেয়ে, অভিমানগুলো মুছে ফেলুন।
একেবারে ছোট বয়সের ঝগড়া একরকম, সেখানে থাকে ভাব-আড়ির খেলা। কিন্তু বড় হয়ে যাওয়ার পর সম্পর্কের সমীকরণ সহজ থাকে না। অনেক সময়, ঝগড়াঝাটির পর মান-অভিমান এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে, যে সেই বাধা অতিক্রম করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমন হলে কী করবেন?
১. ঝগ়ড়া, ঝামেলার পর মাথা গরম থাকে, রাগ হয়। মনে চলতে থাকে, ‘ও কেন এমন করল? বা ও কী করে এই কথাটা বলতে পারল!’ বন্ধুত্ব যত গাঢ়, অভিমানও তত তীব্র হয়। তবে কথা কাটাকাটির পরেই এ নিয়ে মিটমাট করতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং নিজেকেই একটু শান্ত করা দরকার। কিছুক্ষণ একলা থাকলে, প্রয়োজনে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে মন খানিক শান্ত হতে পারে।
২. মাথা ঠান্ডা হলে একবার ভাবুন, সমস্যার সূত্রপাত কীভাবে। ভুলটা সত্যি কার ছিল? হতে পারে, ভুল দু’জনেরই। নিজের ভুলটাও বুঝতে পারা খুব জরুরি। ঠান্ডা মাথায় এরপর ভাবতে হবে, কীভাবে কথা বলা শুরু করবেন।
৩. অনেক সময় ভুল বুঝলেও, কোথাও গিয়ে অহংকারবোধ কাজ করে। অনেক সময়ই আমরা অপেক্ষা করি, অন্য জন কখন কথা বলবেন। অন্য মানুষটিও তখন একইভাবে ভাবেন। কে আগে কথা বলবেন বা দুঃখ প্রকাশ করবেন, তা ভাবতেই ভাবতেই দিন চলে যায়।
৪. রাগের মাথায় এমন অনেক কথা বেরিয়ে যায়, যাতে অন্য মানুষটি খুব আঘাত পান। এক্ষেত্রে ভেবে দেখা দরকার, আপনি এমন কোনও কথা বলেছেন কি না। যদি বলে থাকেন, দুঃখপ্রকাশ করায় কখনোই ছোট হয়ে যাবেন না।
৫. যদি মনে হয়, ঝগড়ায় আপনার তেমন দোষ ছিল না, তবু অন্য পক্ষ কথা বলছেন না, তখন নিজেই কথা শুরু করতে পারেন। একদম স্বাভাবিক ভাবে কথা বলুন। যেমনটা ঝগড়া না হলে বলতেন। সব সময় যে কথা শুরু করলে পুরোনো ঝগড়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই হবে, তেমনটা নয়। স্বাভাবিক ভাবেই আবার কথোপকথন চলতে পারে। আসলে, সময় মান-অভিমান ভুলিয়ে সব ঠিক করে দিতে পারে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।