শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে চলাচলের রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে আমজাদ হোসেন নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসি।
অপর দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার ও শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকেও লিখিত অভিযোগ দেন এলাকাবাসী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে দুই ইউপি সদস্যদের এ বিষয় দেখার জন্য নির্দেশ দেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুস আলী জানান, উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের জিগ্নিকান্দি গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি আমজাদ হোসেন কয়েকদিন আগে এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তায় বসতবাড়ির প্রাচীর নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করেন। ওই সময়ে এলাকাবাসী সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। আমজাদ হোসেন অতি চালাকি করে সুকৌশলে এলাকাবাসীর কথা না শোনে জোরপূর্বক বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করছেন। আমজাদ হোসেন প্রভাবশালী ও ক্ষমতার দাপট দেখানোয় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। এর আগে কাজ চালু অবস্থায় বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। বন্দবেড় ও শৌলমারী ইউনিয়নের শেষ সীমানা হওয়ায় দুই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সাইফুল ইসলাম ও ময়েজ উদ্দিন সরেজমিনে বিরোধপূর্ণস্থান পরিদর্শণ করেন এবং প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে পরবর্তীতে গ্রামবাসিকে নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানের কথা বলেন। কিন্তু মেম্বারের কথাতেও আমজাদ হোসেনের টনক নড়েনি।
এলাকাবাসী বাবুল মিয়া বলেন, সরকারি ১ নং খাস খতিয়ানের রাস্তা, আমজাদ হোসেন কারও কোন কথা তোয়াক্কা না করে প্রভাবখাটিয়ে এবং জোরপূর্বক সরকারি রাস্তা’র অর্ধেক দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করছেন। তারা আরও বলেন, সরকারি রাস্তা দখল হওয়ার অভিযোগ ইউএনও, থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা দাবি করছি অতিদ্রæত দখল হওয়া রাস্তার প্রাচীর ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বন্দবের ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ময়েজ উদ্দিন বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশ পেয়ে অভিযোগকৃত রাস্তা দখলের বিষয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বসতবাড়ির প্রাচীর নির্মাণ কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু আমজাদ হোসেন তার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিরোধপূর্ণ রাস্তাটি উদ্ধার করা না হলে জিগ্নিকান্দি, টালুয়ারচর ও পুরারচর সহ ৫টি গ্রামের মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
বন্দবের ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার জানান, রাস্তা দখলের বিষয় আমাকে ওই এলাকাবাসী অভিযোগ দিয়েছিল। পরে স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি সমাধানের কথা বলেছি। তারপরেও কিভাবে আমজাদ হোসেন রাস্তা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করেছে তা আমি বুঝতে পারছিনা। তবে রাস্তাটি খোলাশা করা দরকার।
এদিকে আমজাদ হোসেনর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার কাজি আনিসুল হক বলেন, রাস্তার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।