কাজিপুরে পর্যাপ্ত পানি নেই খাল বিলে, পাটজাগ দিতে বিড়ম্বনায় কৃষক

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের পাটচাষীরা এবার বিড়ম্বনায় পড়েছেন। পাট কাটার ভরা সময়েও উপজেলার খাল-বিল বা নিচুঁ জলাভূমিগুলোতে নেই পাটজাগ দেবার মতো পর্যাপ্ত পানি।

কাজিপুরে পর্যাপ্ত পানি নেই খাল বিলে, পাটজাগ দিতে বিড়ম্বনায় কৃষক
কাজিপুরে পর্যাপ্ত পানি নেই খাল বিলে পাটজাগ দিতে বিড়ম্বনায় কাজিপুরের কৃষক


ফলে জমি থেকে পাট কেটে অনেক কৃষক যেখানে অল্পবিস্তর পানি আছে সেখানে গাড়ি অথবা কাধে করে পাটগাছগুলো নিয়ে যাচ্ছেন। এরফলে কৃষকের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। 

 কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, চরাঞ্চলসহ ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এ মৌসুমে ৪ হাজার দুইশ পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে তোষা জাতের চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। মেস্তা ৭৫ এবং দেশীসহ অন্যান্য চাষ হয়েছে ৭৫ হেক্টর জমিতে। এবার কৃষকদের মাঝে সরকারি প্রণোদনার পাটের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের যেকোন প্রয়োজনে দিয়েছেন সার্বিক পরামর্শ। একইসাথে অনুকূল আবহাওয়ায় পাটের ভালো ফলন হয়েছে। গাছগুলো অন্যান্যবারের চেয়ে অনেক সুপুষ্ট হয়েছে বলে একাধিক কৃষক জানিয়েছেন। কিন্তু এবার খালবিল জলাশয়ে পাটের জাগদেবার মতো পানির অভাবে পাটগাছ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক।


আরও পড়ুন:


 খাসরাজবাড়ীর কৃষক রফাতুল্লাহ জানান, প্রতিবারেই নদীর কোলা, জলাশয়, বা নিচুঁজমিতে পানি থাকে। সেখানে জাগ দেই। কিন্তু এবার পানি নাই। ফলে এক কিলোমিটার পাটগাছ বয়ে  নদীতে নিয়ে যেতে হয়েছে। এতে অনেক খরচ বেড়েছে।

 মাইজবাড়ীর পাটচাষী, দেবার শেখ জানান, আগে আমাদের পাশের বেড়াডাঙ্গা বিল, জাইরাবিল, নালিচড়া এসব খাল বিলে পানি থাইকতো। পাট জাগ দিতাম। এইবার জাগ দিবার পানি পাইতেছি না  ওইহানে। মেলা খরচ কইরা দূরে নিয়া জাগ দিছি। 

 তবে এবার পাটের দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষক। বাজারে প্রতিমণ পাট রংভেদে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

 উপজেলার স্থলবাড়ি গ্রামের বর্গাচাষী শহিদুল বলেন, আমি দুই বিঘা জমির পাট কুড়িদিন আগে পুকুরে জাগ দিচিলাম। সেগুলো শুকায়ে বাজারে বিক্রি করচি। প্রতিমণ ৩ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করচি। এবার দাম ভালো পাচ্ছি। আরও এক বিঘার পাট কেটে জমিতেই রাখচি। 

 কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, অন্যবারের চেয়ে এবার পাটের ভালো ফলন হয়েছে। দামও ভালো। তবে ভারী  বৃষ্টি নেই বিধায় জাগ দিতে কৃষকের খরচ বেড়েছে। এ অঞ্চলের মাটিগুলোতে বালির পরিমাণ বেশি থাকায় পানিধারণ ক্ষমতা কমে গেছে বলে তিনি জানান। 




সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top