সেবা ডেস্ক: ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সিনেট ভবনে জমায়েত, ছাত্রদল-শিবিরের কারচুপির অভিযোগ আর বৈষম্যবিরোধী প্যানেলের প্রতিবাদ। উপাচার্যের ঘোষণার অপেক্ষায় ক্যাম্পাস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় উত্তেজনা আর উদ্বেগের মিশেলে কেটেছে মঙ্গলবার রাত। নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের ভেতরে ও বাইরে হাজারো শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে নিজেদের পছন্দের প্যানেলের ভাগ্য নিয়ে আলোচনায় মত্ত।
ভিপি-জিএস পদে কে জয়ী হবেন, সে হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত সবাই। কেউ কেউ ‘ঢাবি ঢাবি’ স্লোগানে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে অনিশ্চয়তার ছাপ। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান যেকোনো মুহূর্তে ফলাফল ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলেও সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় অভিযোগের বন্যা। ছাত্রদল ও শিবির নেতারা ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন।
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের টিএসসিতে দাবি করেন, ‘‘ভোটকেন্দ্রের বাইরে ছাত্রদল আর ভেতরে মেকানিজম করেছেন সাদিক কায়েম।’’
তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ফলাফল প্রকাশের পর পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।
ডাকসু নির্বাচন: উত্তেজনা নিরসনে সরকারের বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ
![]() |
ডাকসু নির্বাচন: উত্তেজনা নিরসনে সরকারের বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা—অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী—এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। সরকার বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে কঠোর আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
নির্বাচনের দিন মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাগছাস সমর্থিত প্রার্থীরা ভোটের আচরণবিধি লঙ্ঘন ও কারচুপির অভিযোগ তোলেন। বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ, শাহবাগ, নিউমার্কেট ও প্রেস ক্লাব এলাকায় অবস্থান নেন। সন্ধ্যায় মহানগর ছাত্রদলের মিছিল ও উভয় দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, সরকারের উপদেষ্টারা উত্তেজনা কমাতে পরামর্শ দিয়েছেন, এবং বিএনপি সংঘাত এড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে। জামায়াতের নেতারাও সংঘর্ষে না জড়ানোর ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবে ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আশপাশের এলাকায় থাকবেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।