শফিকুল ইসলাম: রৌমারী শুল্ক স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানীকৃত পাথর বোঝাই প্রতি ট্রাকে পারিশ্রমিক ও বিভিন্ন খরচের জন্য ১৮’শ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে আমদানী ও রপ্তানী কারক এ্যাসোসিয়েশন ও সিএনএফ এজেন্সির বিরুদ্ধে।
![]() |
| সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা : রৌমারী শুল্ক স্থলবন্দরে ট্রাকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ |
অপর দিকে অসাদু কাস্টমস কর্মকর্তার যোগসাজসে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে অতিরিক্ত পাথর আমদানী করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এসব অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা সৃষ্টি করে অসাদু ব্যবসায়ীরা। গত বৃহস্পতিবার শুল্ক স্থলবন্দরে সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
সরেজমিনে রৌমারীর চর নতুনবন্দর শুল্ক স্থলবন্দরে গিয়ে জানা যায়, ব্যবসায়ীদের দ্বন্দের কারনে দীর্ঘ ৯ মাস পাথর আমদানী বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে গত ২৩ অক্টোবর ২৫ইং বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের আসাম প্রদেশের মানকারচর সীমান্ত শাহপাড়া হয়ে বাংলাদেশের রৌমারীর চর নতুনবন্দর শুল্ক স্থলবন্দরে পাথর আমদানী শুরু হয়।
পাথর আমদানী শুর হলেও স্বস্তিতে নেই ব্যবসায়ী মহল। কারণ পাথর বোঝাই ট্রাক প্রতি পারিশ্রমিক ও বিভিন্ন খরচের অজুহাতে ১ হাজার ৮’শ টাকা করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠে। অপর দিকে অসাদু কাস্টমস কর্মকর্তার যোগসাজসে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে অতিরিক্ত পাথর আমদানী করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সাংবাদিকরা এসব তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গেলে বাধা সৃষ্টি করে এবং সংবাদ প্রকাশের জন্য নিষেধ করে অসাদু ব্যবসায়ী ও চাদা আদায়কারি সিন্ডিকেটের লোকজন। তারা আরো জানায় কাস্টমস কর্মকর্তা ছবি তুলতে ও তথ্য দিতে নিষেধ করেছেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা বলেন, পাথর আমদানীকৃত প্রতিটি গাড়িতে আমাদের ভ্যাট, টেক্স, ভাড়া এলসি করার সময় দেওয়া হয়। বাংলাদেশে পাথর বোঝাই ট্রাক আসার পরে পাথর আনলোড করার আগেই সিএনএফ কাগজ ক্লিয়ারেন্স দেখিয়ে বিভিন্ন খরচের নামে আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১ হাজার ৮’শ টাকা নেয়।
রৌমারী সিএনএফ এজেন্সির পরিচালক মামুন মিয়া বলেন, প্রতিটি ট্রাকের ধরন অনুপাতে ১ হাজার ৪’শ থেকে ১ হাজার ৮’শ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। যাহা সিএনএফ সহ স্থলবন্দরের বিভিন্ন খরচ বাবদ ব্যয় হয়।
আমদানী ও রপ্তানী কারক এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলেপ উদ্দিন এ বিষয়ে মুঠো ফোনে জানান ট্রাক প্রতি ১ হাজার ৮’শ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু এখানে বিভিন্ন খরচ আছে।
আমদানী রপ্তানী কারক এ্যাসোসিয়েশন সভাপতি রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অতিরিক্ত টাকা নয়, এ টাকা নেওয়া হয় যাহা ভ্যাট, টেক্স ১ হাজার ৪’শ টাকা ও আনুসাঙ্গিক কিছু খরচ বাবদ ৪/৫’শ টাকা নেওয়া হয়।
নাহিদ গাজী রাজস্ব কর্মকর্তা, কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল রৌমারীকে পাথর আমদানী ও বিভিন্ন খরচের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি গত কয়েকদিন আগে এখানে যোগদান করেছি। আমি আসার পর জানতে পারলাম দীর্ঘ ৯ মাস উভয় দেশের ব্যবসায়ীক সমস্যায় পাথর আমদানী বন্ধ ছিল। তবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে স্থলবন্দরে ছবি তুলা ও সংবাদ প্রকাশের বাধা আছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো জানান, এমন কোন বিধি নিষেধ নাই। তবে অসাধু ব্যবাসয়ীরা তাদের ফায়দা লুটের জন্য এসব কথা বলতে পারে।
সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন
রৌমারী- নিয়ে আরও পড়ুন

রৌমারীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

রৌমারী বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত-১০

দালাল দিয়েই চলছে সমাজসেবা অফিস

রৌমারীতে জমি দখল করার অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

রৌমারীতে মোটরসাইকেলসহ দুই চোর আটক


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।