বাংলাওয়াশেই সমাপ্তি খুঁজছে বাংলাদেশ

S M Ashraful Azom
দুটো দলের পরিবেশই বলে দেয় অন্দরমহলের চালচিত্র। সংবাদ সম্মেলনে এসে নাসির হোসেন হাসছেন, হাসাচ্ছেন। ঠিক উল্টো, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ক্ষেত্রে। সংবাদ সম্মেলনে ঝাঁঝাঁলো, তীর্যক প্রশ্ন ধেয়ে আসছে তার দিকে। বিদ্রুপের সুরে প্রশ্ন হচ্ছে, শেষ ম্যাচে আর কী অর্জন করবেন?

অতীতে বড় দলের বিপক্ষে এমন বৈরি অভিজ্ঞতার মুখে পড়তো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দিন বদলেছে। এখন বাংলাদেশই থাকে চালকের আসনে। আর তাদের প্রতিপক্ষকে চাপে পিষ্ট হতে হয়।
এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জেতা হয়ে গেছে, তাই বলে রিল্যাক্সড নয় বাংলাদেশ। বরং বিপরীত পরিস্থিতি ভেবে নিজেদের জাগিয়ে তুলছে টাইগাররা। আত্মতুষ্টির তো প্রশ্নই আসে না। প্রথম ম্যাচের মতোই জয়ের জন্য মরিয়া মাশরাফির দল। তৃতীয় ম্যাচেও জয় তুলে বাংলাওয়াশ নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ।

সান্তনার জয়ের খোঁজে রয়েছে ভারত। কিন্তু নানাবিধ সমস্যার মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হচ্ছে দলটি। র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর দল হয়ে সাত নম্বর দলের কাছে টানা দুই ম্যাচে হার। দলের ভেতর মানসিক যুদ্ধটা তো স্বাভাবিক। হারলে যা হয়। চারপাশ থেকে গজিয়ে উঠে অনেক প্রশ্ন। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ভারী হয়। তারপরও স্বস্তির জয়ের লক্ষ্যেই বুধবার মাঠে নামবে ভারত।    

জা এন জি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বুধবার ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বেলা তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

ড্রেসিংরুম থেকে ক্রিকেটারদের গাইডলাইনও দিয়ে দেয়া হয়েছে তৃতীয় ম্যাচের জন্য। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার নাসির জানিয়েছেন, দলকে উদ্দীপ্ত করার সেই কৌশলের কথা।

তিনি বলেন, “ড্রেসিংরুমে একটু আগে কথা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আমরা যদি ২টি ম্যাচ হারতাম তাহলে আমাদের কেমন চাপ থাকতো, কিভাবে  খেলতাম আমরা। আমাদের অবশ্যই এভাবেই যেন খেলি জেতার জন্যই যেন খেলি। সবাই যেন সিরিয়াস থাকে। বিন্দু পরিমানও ছাড় দেয়া যাবে না।”

আগের দুই ম্যাচের মতো বুধবারও বাংলাদেশের তুরুপের তাস হবেন ‘বিস্ময় বালক’ মোস্তাফিজু রহমান। এই তরুণের হাতে আবারও সাফল্যের র্নিমল হাসি শোভা পাবে এমনই আশা সবার। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ছন্দে আছে বাংলাদেশ। দরকার তৃতীয় ম্যাচেও সেটির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে মঙ্গলবারই ওয়ানডে স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেনকে। এদিন দলের সঙ্গে অনুশীলনও করেছেন তিনি। যদিও বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।

ব্যাটিং, বোলিংয়ে কম্বিনেশনটা মিলছে না সফরকারীদের। তাই তৃতীয় ম্যাচেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতেই পারে ভারত। এর চেয়ে বড় বাধা ধোনির দলের সামনে, দল হিসেবে মাঠে জেগে উঠা। যা এই সিরিজের দুই ম্যাচে করতে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যাটিং, বোলিংয়ে ছন্নছাড়াই লেগেছে তাদের।

অবশ্য ধোনিদের এই হালের পেছনে বাংলাদেশের কৃতিত্বই বেশি। দুঃসময়টা কাটানোর শেষ সুযোগটা ধোনিরা পাবে কিনা, তা সময়ই বলে দিবে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দাপুটে ক্রিকেটে ম্রিয়মান হয়ে আছে ভারত, এটাই বাস্তব, এটাই সত্য।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top