শুধু
অ্যাঙ্গেলা মার্কেলই নয়, তার পূর্বসূরী জার্মান চ্যান্সেলরদের ফোনেও
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা আড়ি পেতে আসছিল বলে দাবি করেছে উইকিলিকস।
জার্মানির রাজনীতিকদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক
টানাপড়েনের মধ্যে বুধবার এই তথ্য ফাঁস করল জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ শিবির।
গুপ্তচরবৃত্তির
অভিযোগ নিয়ে বার্লিনে ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূতকে মার্কেলের তলবের মধ্যে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্প্রতি বলেছিলেন, দুদেশের
সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। পরিস্থিতি শান্ত করতে ওবামার ওই প্রয়াসের মধ্যে এখন
উইকিলিকসের নতুন তথ্য ফাঁস বিশ্বের প্রভাবশালী এই দুদেশের সম্পর্কে নতুন
করে জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। তবে এ বিষয়ে
জার্মান সরকারের তাত্ক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উইকিলিকস
বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ শুধু
মার্কেলই নয়, গেরহার্ড শ্রোয়েডার এবং তারও আগের চ্যান্সেলর হেলমুট কোলের
ফোনেও আড়িপাতে। তারা বলছে, মার্কেলের উপদেষ্টাসহ চ্যান্সেলর অফিসের ১২৫ জন
কর্মকর্তার ফোন নম্বরই শুধু নয়, ফ্যাক্সনম্বরটিও ছিল এনএসএর লক্ষ্যবস্তু।
মার্কেলের সহযোগীদের ফোনেও চলত আড়িপাতা।
ইউকিলিকস
এনএসএর কাছে থাকা মার্কেলের কথোপকথনের তিনটি নথি প্রকাশ করেছে। এর একটি
২০০৯ সালের, যাতে মার্কেল ইরানের বিষয়ে ওবামার নীতি নিয়ে ব্যক্তিগত মত
জানিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমির শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানকে।
ফাঁস হওয়া আরেকটি কথোপকথনে ২০১১ সালে অর্থনৈতিক মন্দা এবং ইউরো জোনে
ব্যাংকগুলোর আর্থিক উদ্ধার পরিকল্পনা নিয়ে মার্কেলের অবস্থান প্রকাশ পায়।
জুলিয়ান
অ্যাসেঞ্জ এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'জার্মানির মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের
গোয়েন্দাগিরি এখন প্রমাণিত। এখন সময় এটা তদন্তের এবং জার্মানির বিরুদ্ধে
এনএসএর বেআইনি তত্পরতা বন্ধ করার।' সূত্র: রয়টার্স