আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার রাজধানীতে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, ‘দল ও গণতন্ত্রের স্বার্থেই সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন করা হয়েছে।’
দুপুরে রাজধানীর বাবুবাজার ব্রিজ পরিদর্শন করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলে যাতে আরো বেশি সময় দিতে পারেন সে জন্যই এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে তাকে সরানো হতে পারে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন হবে না। ভালো-খারাপ আপনারা (সাংবাদিক) ও জনগণ এই কয়েক বছরে দেখেছেন। এ পর্যন্ত দেশ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বেঠিক হয়নি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রত্যেক দেশেই সরকার প্রধান থাকেন, আমাদের দেশেও আছেন। তিনি প্রয়োজন মনে করলে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন। আবার প্রয়োজন মনে না করলে সরিয়েও নেন। কাউকে কোনো পদে রাখা না রাখা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এখানে আমাদের কিছু নেই। হয়ত তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মনে করেছেন, তিনি (সৈয়দ আশরাফ) অতিরিক্ত ভার বহন করছেন। দলে আরো ভালো করে বেশি সময় দেয়ার জন্য এটা (দপ্তরবিহীন করা) হতে পারে। সাধারণ সম্পাদককে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করায় দলে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।’
দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠীর উদ্যোগে চলমান রাজনীতি-বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কাছে মন্ত্রিত্বের পোর্টফোলিও বড় কোনো ব্যাপার নয়। তিনি একজন পরীক্ষিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আপাদমস্তক এই রাজনীতিক যেখানেই থাকবেন, সেখানেই পারিবারিক ঐতিহ্য এবং জাতীয় চার নেতার একজনের সন্তান হিসেবে নিজের মেধা ও মননে সত্রাজনীতিবিদ হিসেবে ভূমিকা রাখবেন।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীসভায় কে অবস্থান করবেন, আর কে থাকবেন না, তা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এ নিয়ে সরকার গেল বলে চিত্কার করারো কিছু নেই।’

