বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির কার্যক্রমের কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে প্রতিনিয়ত খুন-গুম হচ্ছে। কিন্তু বিজিবি এসব প্রতিরোধ করছে না।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘তারা এখন আর সীমান্তরক্ষী বাহিনী নেই। তারা কেবল দেশের ভেতরে দেশের মানুষের ওপর গুলি চালাতে পারে। মিয়ানমারের সঙ্গেও তারা পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে প্রতিদিন হত্যা-গুম হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করার কেউ নেই। এই অপদার্থ অবৈধ সরকার তো প্রতিবাদ করবেই না, অন্য কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। আওয়ামী লীগই সীমান্তরক্ষীদের শেষ করে দিয়েছে।’
মঙ্গলবার ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে ২০-দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কেমন অসম্মান করে বিজিবি নায়েককে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার! এতে দেশের মান-সম্মান নষ্ট হয়েছে। তারা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে পারে না। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় গুলি কিনে তাদের ওপরেই তা ছুঁড়ছে।’
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়াপারসন বলেন, ‘এখন যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা প্রতিদিনই কথা বলে যাচ্ছি, কিন্তু তাদের গায়েও লাগে না। কাজেও কোনো পরিবর্তন দেখছি না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে এরা জোর ক্ষমতায় এসে দেশে চরম দুরাবস্থার সৃষ্টি করেছে। সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে, শেষ করে দিয়েছে।’
জাতীয় সংসদের প্রসঙ্গ টেনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয় না। বিতর্কের এজেন্ডা থাকে না। সংসদের কোরাম পূর্ণ হয় না। জাতীয় সংসদ এখন গান-বাজনার আসরে পরিণত হয়েছে। এর কারণ, সংসদে এখন কার্যকর শক্তিশালী বিরোধী দল নেই।’
তিনি বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি নির্বাচন দরকার যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কোনো ধরনের কারচুপি হবে না, বাধা সৃষ্টি করবে না। ছোট বড় সব দল এতে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু এই অপদার্থ অকার্যকর নির্বাচন কশিশনের কাছে ভালো কোনো নির্বাচন আশা করতে পারি না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, প্রশাসনে জেষ্ঠ্যদের বাদ দিয়ে অনিয়ম করে দলীয় লোকদেরই পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে যা সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। তারা আইনের ধার ধারে না, বিচারের ঊর্ধ্বে। তারা যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। সরকারের সমালোচনা কেউ করতে পারে না, করলেই তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা তুলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেষ করে দিয়েছে। আমরা নকল বন্ধ করেছিলাম। এখন নকলের ছড়াছড়ি। ইচ্ছে মতো পাস করিয়ে দেয়া হয়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলে তারা পাস করতে পারে না। জাতিকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগকে বসানো হয়েছে।’
দেশের মানুষের কাছে আহ্বান রেখে ২০-দলীয় জোটনেত্রী বলেন, ‘যারা দেশকে ভালোবাসেন এবং নিজেকে ও পরিবারকে ভালোবাসেন, তাদেরকে সচেতন হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে যারা সম্মান করেন তাদেরকে জেগে উঠতে হবে। অন্যায়-অত্যাচার আর অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে।’
লেবার পার্টি সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদ সদস্য আমীনুল ইসলাম ও ডা. রেদওয়ানুল্লা শাহেদী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিশের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইসহাক, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বিজেপির সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, কল্যাণ পার্টির এমএম আমিনুর রহমানজাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।
ইফতারে বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ অংশ নেন।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে প্রতিনিয়ত খুন-গুম হচ্ছে। কিন্তু বিজিবি এসব প্রতিরোধ করছে না।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘তারা এখন আর সীমান্তরক্ষী বাহিনী নেই। তারা কেবল দেশের ভেতরে দেশের মানুষের ওপর গুলি চালাতে পারে। মিয়ানমারের সঙ্গেও তারা পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে প্রতিদিন হত্যা-গুম হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করার কেউ নেই। এই অপদার্থ অবৈধ সরকার তো প্রতিবাদ করবেই না, অন্য কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। আওয়ামী লীগই সীমান্তরক্ষীদের শেষ করে দিয়েছে।’
মঙ্গলবার ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে ২০-দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কেমন অসম্মান করে বিজিবি নায়েককে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার! এতে দেশের মান-সম্মান নষ্ট হয়েছে। তারা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে পারে না। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় গুলি কিনে তাদের ওপরেই তা ছুঁড়ছে।’
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়াপারসন বলেন, ‘এখন যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা প্রতিদিনই কথা বলে যাচ্ছি, কিন্তু তাদের গায়েও লাগে না। কাজেও কোনো পরিবর্তন দেখছি না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে এরা জোর ক্ষমতায় এসে দেশে চরম দুরাবস্থার সৃষ্টি করেছে। সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে, শেষ করে দিয়েছে।’
জাতীয় সংসদের প্রসঙ্গ টেনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয় না। বিতর্কের এজেন্ডা থাকে না। সংসদের কোরাম পূর্ণ হয় না। জাতীয় সংসদ এখন গান-বাজনার আসরে পরিণত হয়েছে। এর কারণ, সংসদে এখন কার্যকর শক্তিশালী বিরোধী দল নেই।’
তিনি বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি নির্বাচন দরকার যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কোনো ধরনের কারচুপি হবে না, বাধা সৃষ্টি করবে না। ছোট বড় সব দল এতে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু এই অপদার্থ অকার্যকর নির্বাচন কশিশনের কাছে ভালো কোনো নির্বাচন আশা করতে পারি না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, প্রশাসনে জেষ্ঠ্যদের বাদ দিয়ে অনিয়ম করে দলীয় লোকদেরই পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে যা সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। তারা আইনের ধার ধারে না, বিচারের ঊর্ধ্বে। তারা যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। সরকারের সমালোচনা কেউ করতে পারে না, করলেই তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা তুলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেষ করে দিয়েছে। আমরা নকল বন্ধ করেছিলাম। এখন নকলের ছড়াছড়ি। ইচ্ছে মতো পাস করিয়ে দেয়া হয়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলে তারা পাস করতে পারে না। জাতিকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগকে বসানো হয়েছে।’
দেশের মানুষের কাছে আহ্বান রেখে ২০-দলীয় জোটনেত্রী বলেন, ‘যারা দেশকে ভালোবাসেন এবং নিজেকে ও পরিবারকে ভালোবাসেন, তাদেরকে সচেতন হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে যারা সম্মান করেন তাদেরকে জেগে উঠতে হবে। অন্যায়-অত্যাচার আর অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে।’
লেবার পার্টি সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদ সদস্য আমীনুল ইসলাম ও ডা. রেদওয়ানুল্লা শাহেদী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিশের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইসহাক, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বিজেপির সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, কল্যাণ পার্টির এমএম আমিনুর রহমানজাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।
ইফতারে বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ অংশ নেন।