চট্টগ্রাম বন্দরে
তেলের ড্রামে কোকেন উদ্ধার মামলার অন্যতম আসামি খান জাহান আলী লিমিটেডের
চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদকে এখনই গ্রেফতার করা হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কোকেন আমদানিতে তার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়ার পরই নূর মোহাম্মদকে গ্রেফতার
করা হবে। সিএমপির উপ-কমিশনার (ডিবি) কুসুম দেওয়ান গতকাল বুধবার ইত্তেফাককে এ
তথ্য জানান। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর মামলা। পুলিশকে অনেকগুলো
বিষয় বিবেচনায় রেখে মামলার তদন্ত কাজ এগিয়ে নিতে হচ্ছে। তিনি জানান, নূর
মোহাম্মদ পলাতক নন। তাকে পুলিশের নজরদারিতেই রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে গ্রেফতার
করা হবে।
এ
ঘটনায় ২৮ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানায় এসআই ওসমান গণি বাদি হয়ে একটি
মামলা করেন। মামলায় খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও
সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাইম হ্যাচারির ম্যানেজার মো. গোলাম মোস্তফা সোহেলসহ
অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
এদিকে
ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া এই মামলার অপর তিন আসামি আতিকুর রহমান, মোস্তফা কামাল
ও এ কে আজাদকে গতকাল চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসি
(ডিবি) মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ডিবির একটি টিম গতকাল রাতে আসামিদের
নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছান। এর আগে একই মামলায় চট্টগ্রামে গ্রেফতার হওয়া
প্রাইম হ্যাচারির ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা সোহেলকে রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনেও
আনুষ্ঠানিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেনি পুলিশ। ডিসিডিবি কুসুম দেওয়ান জানান,
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকায় অবস্থানের কারণে গোলাম মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদ
করা শুরু হয়নি। তবে মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। কিছু
তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাবে না।
উল্লেখ্য,
গত ৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডে সূর্যমুখী তেল ঘোষণা দিয়ে
আমদানি করা তরলের একটি কন্টেইনার আটক করা হয়। বলিভিয়া থেকে আমদানি করা এই
কন্টেইনারটিতে ১শ’ ৭টি ড্রাম ছিল যার প্রতিটির ওজন ১শ’ ৮৫ কেজি। এসব ড্রামে
তরল কোকেন রয়েছে, পুলিশের দেয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে কন্টেইনারটি আটক করে
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। আটক কন্টেইনার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে
পরীক্ষার পর প্রাথমিকভাবে সেখানে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও
পরবর্তীতে উন্নত পরীক্ষার পর একটি ড্রামে তরল কোকেনের অস্তিত্ব সম্পর্কে
নিশ্চিত হন শুল্ক গোয়েন্দারা।