সেবা ডেস্ক: পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে সব সূচকেই পতন হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে বাজারে উত্থান হওয়ার পর এখন কিছুটা দর সংশোধনের ফলে সূচক কমেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে। আর ডিএসই ৩০ সূচক ১৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯ শতাংশ ও ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ১১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট কমেচে। এছাড়া সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ১৬৬ কোটি টাকায়। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩২৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৫টির, কমেছে ১৭০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।
এদিকে গত সপ্তাহে সব ধরনের সূচক কমলেও আর্থিক লেনদেন বেড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে দৈনিক গড় হিসাবে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের সপ্তাহে ছিল ৪৭১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ডিএসইর তথ্যে দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্যাংকিং খাত। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেনের ১৫ শতাংশ ছিল এই খাতের অবদান। গত সপ্তাহে ব্যাংকিং খাতে প্রতিদিন ৮৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে লেনদেন হয়েছে ১৩ শতাংশ। এ খাতে গেল সপ্তাহে প্রতিদিন ৭৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ শতাংশ।
এছাড়া, ট্যানারি খাত ১০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাত এবং আর্থিক খাতে ৯ শতাংশ করে , তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৪ শতাংশ, খাদ্য, বিমা, সিমেন্ট ও বিবিধ খাতে ৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। টাকা অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ারে। এ সময়ে কোম্পানির ১০২ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডরিন পাওয়ার জেনারেশনের লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। ৬৪ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে তিতাস গ্যাস।