সেবা ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের বল্লাল বাড়িতে সুবর্না (৬) নামে এক শিশু গৃহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুন্সীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। শিশুটি এখন থানা হেফাজতে রয়েছে।
সুবর্না সদরের বানিয়া বাড়ি এলাকার শাহ আলমের মেয়ে। তার বাবা শাহ আলমের খোঁজ করে জানা যায়, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সে আরেকটি বিয়ে করে চলে গেছেন।
জানা গেছে, মা ভারতি বেগম মারা যাওয়ার পর শিশুটিকে বল্লালবাড়ি এলাকার সিরাজ মাদবরের স্ত্রী কল্পনা বেগম পালক হিসেবে নিজের বাড়ি নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে বাসা- বাড়ির কাজে নিয়োজিত করেন। মেয়েটিকে দিয়ে বাড়ির সমস্ত কাজ করানো হতো। কোন কাজে ভুল হলেই মেয়েটিকে নির্যাতন করা হতো। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখমের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।
সুবর্না বলে, ‘আমার মা মারা যাওয়ার পর আমাকে এই মহিলা নিয়ে আসে। আমি তাকে মা বলতাম। সে আমাকে মারধর করে, মাথায়, পেটে, গলায়, হাতে ও রানে অনেক আঘাত করেছে দিনের পর দিন। কাজ করাতো কিন্তু খাবার দিতনা আমাকে। শুতে দিত খাটের নিচে।’
মারধরের কথা স্বীকার করে কল্পনা বেগম বলেন, ‘ও আমার মেয়ে, ওকে আমি মারবো-কাঁটবো সেটা আমার ব্যাপার।’
মুন্সীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুর রহমান বলেন, শিশুটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। শিশুটির প্রকৃত অভিভাবককে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। অভিভাবক পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।