সেবা ডেস্ক: অভয়নগরে সেই এতিম ভাই-বোন মারুফা-সাকিব প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দেয়া ভরণ-পোষণ বাবদ মুদি দোকানের বরাদ্দ বুঝে পেল।সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর জেলা প্রশাসক ড. মো. হুমায়ুন কবির অভয়নগর উপজেলায় গিয়ে শিশু দুটির অভিভাবক দাদা আব্দুর রশিদের হাতে দোকানের দলিল তুলে দেন। এ সমেয়ে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ নাসির উদ্দিন। ওই এতিমদের উপজেলা সীমানায় কলেজ রোড সংলগ্ন জমিতে টিন শেডের দোকান নির্মাণ করে বার্ষিক দশ টাকা ইজারায় দশ বছরের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
দলিলে দশ বছর পর চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিধান রয়েছে। তবে দোকানের মালামাল সরবরাহের দায়িত্ব নিয়েছে নওয়াপাড়া গ্রুপ।
প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে ওই এতিম শিশু দুটির বাবা ইজিবাইক চালক মনিরুল ইসলাম (৩৫) ব্লাড ক্যান্সারে মারা গেছেন। তাদের মা হাজেরা বেগম (২৬) আরেকজনকে বিয়ে করে সংসার করছেন। সন্তানদের খোঁজ-খবর রাখে না তিনি। পঙ্গু দাদা আব্দুর রশিদ দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে শিশু দুটির ভরণ-পোষণ যোগানোর প্রাণপণ চেষ্টা করে চলেছেন।
গত চার মাস আগে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। তিনি তার প্রতিনিধি হিসাবে জেলা প্রশাসককে পাঠিয়ে এতিম সন্তানদের ভরণ-পোষণের জন্য ব্যবস্থা করতে বলেন। জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক উপজেলার ডাক বাংলোতে নিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে ভরণ পোষণের ঘোষণা দেন।
