সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতা রোধে এবং জঙ্গিবাদ বিরোধী সচেতনতায় বানানো বহুল প্রচারিত বিজ্ঞাপনটি অনেকেই জানেন। যেখানে এক মায়ের আদর্শ ছেলে বিপথে থাকা বন্ধুর সংস্পর্শে কিভাবে জঙ্গিবাদ কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় এবং স্বপ্নচারী ঐ মায়ের সংসার তছনছ হয়ে যায়, তা তুলে ধরা হয়।
নির্মাতা খিজির হায়াত খানের পরিচালনায় ও কেএইচকে প্রোডাকশন হাউসের ব্যানারে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত বিজ্ঞাপনটি ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যে ঘরে সন্তান আছে, যে ঘরে সন্তানের প্রতি মায়ের ভালবাসা আছে, সেসব মানুষের কাছে বিজ্ঞাপনটি তুমুল আবেদন রাখতে সক্ষম হয়েছে।
টিভিসি’টির নির্মাণে ভেতরকার গল্প নিয়ে কথা হলে নির্মাতা খিজির হায়াত খান বলেন, ‘দূর্নীতি বিরোধী প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন’ শিরোনামের কাজটি নির্মাণ করা হয় ফেব্রুয়ারী মাসে। ঢাকা ও আশপাশের কয়েকটি লোকেশনে টিভিসি’টির শ্যুটিং হয়। তিনদিনের শ্যুটে কাজটি শেষ করেন নির্মাতা।
খিজির হায়াত বলেন, টিভিসির কাজ শুরুর সময় অভিনয় শিল্পী নির্বাচনের সময় বেশ বিপাকে পড়েছিলাম। তবে লিনা আপা(ফেরদৌসী আহমেদ লীনা) এক কথায় কাজ করতে রাজি হন। তারপরের গল্প আর বলার নেই। চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজটি করে সফল হয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই কূটনৈতিক এলাকা গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে এবং দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে হত্যা করে জঙ্গিরা। আর এ ঘটনায় জড়িত ছয় জঙ্গিই বয়সে তরুণ। ঘটনাটি বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়।
খিজির হায়াতের টিভিসির গল্পেও এমন সাদৃশ্য তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বন্ধুর পাল্লায় পড়ে মায়ের একমাত্র ছেলেটি অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ে, শেষঅবধি র্যাবের হাতে ধরা পড়ে। মায়ের চরিত্রে এখানে অভিনয় করেছেন ফেরদৌসী আহমেদ লীনা এবং ছেলের ভূমিকায় দেখা গেছে হিমাদ্রী চক্রবর্তী রহিতকে। হলিআর্টিজানের ঘটনার আগে প্রচার শুরু হলেও টিভিসি’টি আলোচনায় আসে ঘটনার পরে। সাড়ার বিষয়ে খিজির হায়াত খান বলেন, ‘আমার করা কাজগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ কাজ এটি। দারুণ অভিনয় করেছেন অভিনয় শিল্পীরা। আর কো-ইন্সিডেন্সলি দেশের সবশেষ ছয়মাসের অনেকগুলো ঘটনার সঙ্গে মিলে যাওয়া দর্শকরা এটিকে নিয়েছে।’
‘দূর্নীতি বিরোধী প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন’র গল্প লিখেছেন খিজির হায়াত খান ও তার প্রোডাকশন সহযোগিরা। অন্যান্য চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন শেহনাজ উদ্দীন, ইমরান, অভিজিৎ সরকার, পায়েল এবং ইতি প্রমূখ।