মিঠু আহমেদ , জামালপুর ঃ
গেট ব্যারিয়ার ও গেটম্যান না থাকায় জামালপুর তারাকান্দি এবং জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ, লাঙ্গলজোড়া, বিডিআর ক্যাম্প সংলগ্ন সেকশনে ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শতাধিক রেলওয়ে লেবেল ক্রসিং।
ফলে সড়ক-মহাসড়ক ছাড়াও স'ানীয় সড়কে যানবাহন রেল ক্রসিং অতিক্রম করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ঘটছে হতাহতের ঘটনা।
সর্বশেষ মেলান্দহে শ্যামপুর রেল ক্রসিং পার হবার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে ছয় অটোরিক্সা যাত্রীর। এই ক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার আর গেটম্যান কোনটিই নেই।
ঝুঁকিপুর্ণ আরো বেশ কয়েকটি রেলক্রসিংয়ে একাধিক দুর্ঘটনার ঘটনায় প্রানহানির ঘটনায় প্রাণহানি ঘটলেও নেই কোন প্রতিকার। টনক নড়ছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের।
রেল ক্রসিংগুলো পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে। জামালপুর রেলওয়ে সেকশনের আওতায় ময়মনসিংহের বিদ্যাগঞ্জ রেলষ্টেশনে থেকে জামালপুর জংশন হয়ে তারাকান্দি এবং জামালপুর থেকে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন- ১০২ কিলোমিটার রেলপথে এমন অনুমোদিত রেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ৮৯টি।
রেলের অনুমোদন থাকলেও এই ৮৯টি ক্রসিংয়ের মধ্যে ৭৮টিতেই নেই গেট ব্যারিয়ার ৭৭টিতেই নেই কোন গেটম্যান।
এছাড়া এই সেকশনে অনুমোদিত অবৈধ ক্রসিং রয়েছে ৪৫টি। প্রতিদিন এসব অরক্ষিত ক্রসিং পারাপার হচ্ছে অসংখ্য যানবহন। ফলে ঝুঁকিপুণ এসব ক্রসিং অতিক্রম করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
জামালপুর জংশনের এই দুটি সেকশনের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপুর্ণ ক্রসিং চারটি। এর মধ্যে জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কানিল রেল ক্রসিং,
লাঙ্গলজোড়া রেল ক্রসিং, জামালপুর-মেলান্দহ-দেওয়ানগঞ্জ সড়কে শ্যামপুর রেল ক্রসিং,জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়কে শেখের ভিটা রেল ক্রসিং এবং জামালপুর-সরিষাবাড়ী সড়কে কালিবাড়ী রেলক্রসিংটি।
জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক বাদে অন্য ৩টিতে গেটব্যারিয়ার ও গেটম্যান নেই। যুগ যুগ ধরে ঝুঁকি নিয়েই ক্রসিংগুলো অতিক্রম করছে এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করছে লোকজন।
ক্রসিং পারাপারের সময় কথা হয় শেখের ভিটা এলাকার বাসিন্দা মজিবুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, এই ক্রসিং অতিক্রম করেছে জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়ক।
সড়কটি সব সময় ব্যস- থাকে। কর্মব্যসত্ম ঘরমুখো মানুষ পারাপারে এসব রাস-ায় চাপ বেড়ে আরো বেশি ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে।
ব্যস-তম সড়কটি দিয়ে বাস,ট্রাক,প্রাইভেটকার,মাইক্রোবাস,সিএনজি ও অটোরিক্সাসহ অসংখ্য যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।
ক্রসিংটিতে নেই গেট ব্যারিয়ার ও গেটম্যান। বার বার অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটলেও রেল কর্তৃপক্ষ গেটব্যারিয়ার স'াপন এবং গেটম্যান নিয়োগে উদ্যোগ নেয়নি। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই ক্রসিং প্রতিনিয়ত অতিক্রম করতে হয় আমাদের।
বিষয়টি স্বীকার করে জামালপুর রেলওয়ে জংশনের ষ্টেশন মাষ্টার বলেছেন, জামালপুর সেকশনে রেলের অনুমোদিত ৮৯টি লেবেল ক্রসিংয়ের অধিকাংশই গুরুত্বপুর্ণ সড়ক-মহাসড়ক অতিক্রম করেছে।
প্রতিদিন অসংখ্য যানবহন এসব ক্রসিং অতিক্রম করে চলাচল করে। ফলে যেকোন মুহুর্তে এসব ক্রসিংয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংঙ্কা থাকে সব সময়ই।
এ অবস'ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে এসব ক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার স'াপন ও গেটম্যান নিয়োগ দেয়া হবে।