বাঁশখালীতে চার মাসে অর্ধলক্ষাধিক ইয়াবা আটক! বিকল্প রুটে ইয়াবা পাচার

S M Ashraful Azom
বাঁশখালীতে চার মাসে অর্ধলক্ষাধিক ইয়াবা আটক! বিকল্প রুটে ইয়াবা পাচার
শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: যুবসমাজের অবক্ষয়ের প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম মদ, গাজা, ইয়াবার মতো মরণঘাতক ট্যাবলেট সেবন করা। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই ইয়াবাসহ ধরা পড়ে যুবক-যুবতি। সমাজ থেকে কিছুতেই দূরীভূত হচ্ছেনা এসব নেশাজাত দ্রব্যের সয়লাভ। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে আজকাল মাদক সেবীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলছে।
এদিকে মাদকের মতো নেশা সেবন ও ইয়াবা পাচার রোধে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাঁশখালী থানা পুলিশের চৌকস পুলিশ অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহউদ্দীন হিরা। থানা পুলিশের নিয়মিত অভিযানে একের পর এক ইয়াবা পাচারকারি আটক হলেও তা যেন কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। পুলিশের চেক পোষ্ট বসালেই ধরা পড়ে ইয়াবা। এদিকে সাধারন জনগন বাশঁখালী হয়ে ইয়াবা পাচার রোধ করার জন্য স্থায়ী চৌকি বসানোর জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

চলতি বছরের শুরু থেকে আজ অবধি দু-এক দিন পর পর ইয়াবাসহ আটক হয়েছে প্রায় শতাধিক ব্যক্তি আর আটক হয়েছে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক ইয়াবা। বাশঁখালী হয়ে ইয়াবা পাচারকারীরা কম সংখ্যক ইয়াবা নিয়ে, বিশেষ করে ৫/৪শত থেকে শুরু করে ৮/১০ হাজার ইয়াবা ধরা পড়লেও অধিক সংখ্যক ইয়াবা পাচারকারীরা সাগর পথকে বেচে নেয়।বাশঁখালীর বিভিন্ন গ্রামে ইয়াবা সেবন কারী রয়েছে এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের হলে ও তাদের গ্রেফতারে কিংবা সুনিদিষ্ট তথ্য দিতে চায়না জনগন। ফলে ইয়াবা সেবন কারীরা নানা ভাবে সমাজকে কলুষিত করছে, এদের কারণে দিন দিন বেড়ে চলেছে সামাজিক নৈরাজ্য।


বাঁশখালীর বিভিন্ন পয়েন্টে কক্সবাজার এবং টেকনাফ থেকে ইয়াবা ঢুকছে বিগত কয়েবছর থেকে। প্রশাসনের তৎপরতায় কিছু কিছু ইয়াবা আটক করা সম্ভব হলেও অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের চোখকে ফাকিঁ দিয়ে ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছে বলে সাধারণ জনগনের অভিযোগ। এমনকি ইয়াবার মরণ ছোবল এখন ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামে গঞ্জে। বাশঁখালী থানার দেয়া তথ্য মতে বিগত চার মাসে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক ইয়াবা আটক করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত অভিযানে। এ অভিযান নিয়মিত পরিচালনা সম্ভব অথবা এই ইয়াবা যাতে বাশঁখালীতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য স্থায়ী চৌকি বসানো সম্ভব হলে অনেকটা এই ইয়াবার ছোবল থেকে রক্ষা পেত যুব সমাজ। ইয়াবার সহজ লভ্যতার কারনে এদিকে সহজেই ঝুকে বসেছে যুব সমাজ এ অভিযোগ অনেকের মুখ থেকে শুনা গেলেও এটা রোধে প্রশাসনকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়না জনগন নানা কারনে।


বিগত কয়েক মাসে বাঁশখালী থানা পুলিশের অভিযানে শতাধিক ব্যক্তি আটক এবং অর্ধলক্ষাধিক ইয়াবা আটক হয়েছে। এক সময় ইয়াবা পাচারকারিগণ পেকুয়া বাঁশখালী সড়ক হয়ে আসলেও বর্তমানে সাগর থেকে শুরু করে নানা পথে আসায় তাদের হদিস পেতে বেকায়দায় পড়তে হয় পুলিশ প্রশাসনকে। একটি সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী-পেকুয়া সড়কে প্রতিনিয়ত ইয়াবা ও মাদক দ্রব্য রোধে পুলিশের চৌকির মাধ্যমে চেক পোষ্ট করায় ছনুয়ার বিকল্প সড়ক হয়ে বর্তমানে বাঁশখালীর বিভিন্ন পয়েন্টে কক্সবাজার এবং টেকনাফ থেকে ইয়াবা ঢুকছে। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহ উদ্দিন হীরা বলেন থানা পুলিশ নিয়মিত অভিয়ান পরিচালনা করছে । ইয়াবা পাচারকারীরা নানা রকম কৌশল অবলম্বন করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ও নানা কৌশলে তাদের নির্মুলে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। আগামী ১০ রমজান পর্যন্ত মাদক বিরোধী অভিযান অভ্যাহত থাকা সহ ইয়াবা ও মাদক নির্মুলে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না বলেন তিনি। আমি বিগত চার মাস আগে এ থানায় যোগদান করলেও ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক ইয়াবা সহ প্রায় শতাধিক মাদক সেবীকে আটক করেছি বিভিন্ন সময়ে। গণ সচেতনতার জন্য বাঁশখালীর বিভিন্ন স্থানে মাদক বিরোধী সভা সেমিনার অব্যাহত রেখেছি। শিগ্রই বাঁশখালীকে মাদক মুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।



#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top