সেবা ডেস্ক: ২০১৮-১৯ সালের বাজেট জাতীয় নির্বাচন মুখী বাজেট বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এই বাজেটে বিপদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। কারণ এই বাজেটে কালো টাকা সাদা করা, বিদেশে অবৈধ টাকা পাঠানো বিষয়ে সঠিক কোন নির্দেশনা দেননি মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সরকারের এই বাজেটে শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীই নয় বরং বিএনপির বড় একটি অংশ বিপদে পড়বে। ঘরছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় পড়েছেন বিএনপির নেতারা।
বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে বাজেট ঘোষণার পরপর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একত্রিত হয়ে সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অর্থমন্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। তারা কালো টাকা সাদা করা এবং বিদেশে অর্থ পাচার রোধে সরকারে কঠোর মনোভাবের তুমুল সমালোচনা করেন। জানা গেছে, বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতাকে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট হারে লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হয়। সরকার এসব বিষয়ে কড়াকড়ি করলে তো তারেক রহমান বিদেশে না খেয়ে মরবেন। এছাড়া নিজেদের অপ্রদর্শিত অর্থ কিভাবে বৈধ করবেন সেটা নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
এছাড়া প্রসাধন সামগ্রীতে কর বাড়ানো নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে গালিগালাজ করেন নেতারা। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ক্ষমতা নেই। এমনিতেই কেউ দাম দেয় না। এখন আবার মেয়েমানুষের সাজগোজ সামগ্রীতে কর বাড়ালে তো বাড়িতে থাকা যাবে না। কর বাড়ালে মেয়েমানুষের মেজাজ যাবে বিগড়ে। বাড়িতে থাকতে দিবে না এই সরকার। ঘরছাড়া করতে চায় বেরসিক সরকার। অর্থমন্ত্রী একজন বিবেকহীন মানুষ। রস নাই একদম। এসময় উপস্থিত বাকি দুজন সিনিয়র নেতাও তার সাথে একমত পোষণ করে অর্থমন্ত্রীকে অভিশাপ দেন।