সেবা ডেস্ক: খুলনার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পরাস্ত হয়ে বাকি তিন সিটি- সিলেট, রাজশাহী, বরিশালের নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
এরইমধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়ে জামায়াত ইসলামের প্রার্থীর নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত শঙ্কার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এসব শঙ্কার পাশাপাশি সিলেট বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ঘাড়ে যুক্ত হয়েছে নতুন ঝামেলা। শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়া তথ্য দিয়ে ধরা খেয়েছেন সিলেট বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।
আর সে তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম।
জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় যে তথ্যগুলো দিতে হয় তার মধ্যে একটি হচ্ছে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের অভিযোগ, আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা প্রেরণ করেছেন তাতে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সম্পদের বিবরণীর তথ্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং ভুয়া।
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের ঠিক আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করার ব্যাপারে নিজে অনড় অবস্থানের কথা জানান বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম।
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের ঠিক আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করার ব্যাপারে নিজে অনড় অবস্থানের কথা জানান বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম।
একইসাথে তিনি দলীয় প্রার্থী আরিফের বিরুদ্ধে হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা গোপনেরও অভিযোগ তোলেন। এমন তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সিলেটের ভোটারদের মাঝে আরিফুল হকের প্রতি তৈরি হয়েছে ঘৃণা।
তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশনে শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যে তথ্য দিয়ে শুধু নির্বাচন কমিশনকে ধোঁকা দেয়নি বরং তিনি সিলেটের সাধারণ ভোটারদের বিশ্বাসে আঘাত করেছেন।
এমতাবস্থায় প্রার্থীদের যোগ্যতা বিবেচনায় এবং ভোটারদের সুবিধার জন্য প্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি গণমাধ্যমে প্রকাশেরও উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এমতাবস্থায় প্রার্থীদের যোগ্যতা বিবেচনায় এবং ভোটারদের সুবিধার জন্য প্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি গণমাধ্যমে প্রকাশেরও উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।