সেবা ডেস্ক: রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
গত ২০ জুন রাাসিক মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়ে দায়িত্বভার নেয়ার পর ২৭ মাস দায়িত্ব পালনের সুযোগ লাভ করেন তিনি।
তন্মেধ্যে পুলিশের দায়ের করা নাশকতার মামলায় কারাগারে কাটান কিছু দিন।
বিভিন্ন কারণে এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। প্রচারণায় আওয়ামী লীগের নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করার কারণে পিছিয়ে পড়ছে এক সময়ের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।
রাজশাহী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থানীয় নেতাদের দলীয় কোন্দল, কর্মীদের মাঝে নেতা বাছাই নিয়ে বিভক্তি, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির বাইরে স্থানীয় পর্যায়ে কোন কর্মসূচি না দেয়াসহ নাশকতা ও সহিংসতার শঙ্কায় দলটি স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসূচিতে না দিতে পারার কারণে দলটির পক্ষ থেকে রাজশাহী নগরে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়ার মতো সুযোগ পায়নি তারা।
ওয়ার্ড পর্যায়ে কোন কমিটি না থাকায় ওয়ার্ডে নেতৃত্বের পাশাপাশি দিকনির্দেশনা প্রদানকারী না থাকায় অভিভাবকহীনতায় ভুগছেন দলটির কর্মীরা। এর মাঝে বিএনপির অনেক কর্মীরা দল পাল্টে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে যোগদানেরও খবর পাওয়া গেছে।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বিগত সময়ের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রভাব ফেলেছে তার নির্বাচনী প্রচারণায়।
এদিকে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর সব নেতাকর্মী এবার শুরু থেকেই নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় ভোটের মাঠে তুলনামূলক সুবিধায় রয়েছেন লিটন। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা বলেন, খায়রুজ্জামান লিটনের মতো নেতা যেমন রাজশাহীতে নেই, তেমনি তার মতো সেবকও নেই।
ফলে তার কোনো বিকল্প রাজশাহীতে নেই। আরও বলেন, সিটি নির্বাচন নিয়ে সবার লক্ষ্য, লিটনকে মেয়র নির্বাচিত করা। এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এর সময়ে (২০০৮-২০১৩) রাজশাহীর যে উন্নয়ন হয়েছে, তা এখনো মানুষ মনে রেখেছে। তাই জনগণের মুখে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কথা বেশি শোনা যাচ্ছে। যার ফলে বিপাকে পড়েছে বিএনপি প্রার্থী বুলবুল।