চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএনপির পেট্রল বোমায় আ’লীগের ৪ জন দগ্ধ

S M Ashraful Azom
0

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএনপির পেট্রল বোমায় আ’লীগের ৪ জন দগ্ধ
সেবা ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারি ইউনিয়নের জাহানাবাদ এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকার মাঝি দিদারুল ইসলামের নির্বাচনী প্রচারণায় স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের পেট্রল বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি’র পেট্রোল বোমা হামলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অন্তত ৪ জন গুরুতর দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ২৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ বোমা হামলা’র ঘটনা ঘটে।

বিএনপি’র পেট্রোল বোমার আঘাতে গুরুতর দগ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীরা হলেন- রায়হান, তায়েম, সাদ্দাম ও ছালেক।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দীন তালুকদার  জানান, এ ঘটনায় আহত ৪ ব্যক্তি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে দগ্ধ ৩ জনকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এবং রডের আঘাতে আহত ১ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১০ম জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির পেট্রল বোমা সন্ত্রাস

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু হয়। তারা সে সময় শত শত যানবাহন ভাংচুর করে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় তাদের পেট্রল বোমা, হাতে বানানো বোমা এবং অন্যান্য সহিংসতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ সদস্যসহ ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। সহিংসতার সময় রাস্তার পাশে থাকা হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এছাড়া, ছোট দোকান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতেও আগুন দেয় তারা। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও গীর্জা ভাঙচুর এবং কোরানের শত শত কপি জ্বালিয়ে দেয়। নির্বাচনের দিন, একজন প্রিসাইডিং অফিসারসহ মোট ২৬ জনকে হত্যা করে এবং সারাদেশে ৫৮২টি স্কুলে ভোটকেন্দ্রে আগুন লাগায় বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা। এসব বাধা বিপত্তি থাকা সত্ত্বেও ওইদিন জনগণ গণতন্ত্রকে বজায় রেখে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।

২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি নির্বাচনের ১ বছর পূর্তির দিন আবারও জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু করে বিএনপি-জামায়াত জোট। ওই সময় ২৩১ জনকে হত্যা করে তারা। যাদের বেশিরভাগই পেট্রল বোমা এবং আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায়। ওই ঘটনায় আহত হয় আরো ১ হাজার ১শ’ ৮০ জন। সেসময় ২,৯০৩টি গাড়ি, ১৮টি রেলগাড়ি এবং ৮টি যাত্রীবাহী জাহাজে আগুন লাগিয়ে হামলা চালায় তারা। ওই সময় হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় সরকারি অফিসগুলো। বিএনপি-জামায়াতের ভাঙচুর এবং আগুনে পুড়ে ৬টি ভূমি অফিসসহ ৭০টি সরকারি কার্যালয় নষ্ট হয়ে যায়।⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top