
সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি: জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসন এখন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী শূন্য। বিএনপি মনোনিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের প্রার্থীতা হাইকোর্ট স্থগিত করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। সোমবার হাইকোর্টের আপীল বিভাগ দীর্ঘ শুনানী শেষে এ আদেশ বহাল রাখে।
এ খবরে স্থানীয় বিএনপিতে চরম হতাশা বিরাজ করছে। প্রার্থী না থাকায় পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে ঐক্যফ্রন্টের তৃণমুল। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উচ্ছ্বাস।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, বিএনপির প্রার্থী জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি ঐক্যফ্রন্ট থেকে এমপি পদে প্রার্থী হন। তাঁর পদত্যাগ যথাযথভাবে হয়নিÑ মর্মে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আহমেদ কবীর ২ ডিসেম্বর তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন। পরে নির্বাচন কমিশনে আপীল করে ৬ ডিসেম্বর তিনি প্রার্থীতা ফিরে পান এবং ধানের শীষ প্রতীকে প্রচারণা শুরু করেন। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আওয়ামী লীগ মনোনিত এমপি প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুরাদ হাসান ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট (পিটিশন নং ১৬২৬৩/২০১৮) দায়ের করেন। ২০ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের প্রার্থীতা স্থগিত করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে প্রার্থী আপীল (সিএমপি নং ১২৮৬/২০১৮) করলে সোমবার দীর্ঘ শুনানী শেষে এ স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন। ফলে আসনটি বিএনপির প্রার্থীশূন্য হয়। দলীয় সুত্রে জানা গেছে, জামালপুর-৪ আসনে বিএনপি থেকে তিনজন দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ছাড়াও অন্য দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বেলজিয়াম বিএনপির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন সেলিম ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল্লাহ শহিদ ভিপি। ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এদিকে গণফোরাম থেকে মনোনয়ন পেয়ে এড. রবিউল ইসলাম তরফদার রবিন রিটার্নিং অফিসার বরাবর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। সর্বশেষ ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমকে ঐক্যফ্রন্টের চুড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হলে রবিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এছাড়া ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের স্ত্রীকে দিয়ে ‘প্রক্সি প্রার্থী’ হিসেবে নির্বাচন করাতে চাইলেও সময় স্বল্পতার জন্য তাঁর মনোনয়নপত্রও রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে পারেননি। সবমিলিয়ে সরিষাবাড়ীতে বিএনপির একক পরিবারকেন্দ্রীক মানসিকতা, ঐক্যফ্রন্টের অদূরদর্শীতা ও সাংগঠনিক দূর্বলতার জন্য প্রার্থী শূন্য অবস্থায় জাতীয় নির্বাচনে বহাল রয়েছে দেশের বৃহৎ একটি রাজনৈতিক জোট।
⇘সংবাদদাতা: সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।