নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া : ভালবেসে বিয়ের পর সে বিয়ে দুই পরিবারের সদস্যরা মেনে না নেয়ায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রেমিক যুগল গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এক সঙ্গে গ্যাস ট্যাবলেট খেলেও প্রথমে প্রেমিকা ও পরে প্রেমিক মারা যায়।
প্রেমিক প্রেমিকরা হলেন, শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উঁচুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে ও এক সন্তানের জনক আজিজুল হক (২৫) ও একই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে ও স্বামী পরিত্যক্তা এক সন্তানের জননী কেয়া আক্তার টপি (২৪)।
শেরপুর থানা পুলিশ, নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, প্রায় বছরখানেক আগে থেকে আজিজুল হকের সঙ্গে কেয়া আক্তার টপির মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে বিয়ে করেন। কয়েক মাস সংসারও করেন। এরপর তারা চলতি জানুয়ারি মাসের শুরুতেই বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু তাদের এই বিয়ে উভয় পরিবার মেনে নিতে অসম্মতি জানায়। পরবর্তী সময়ে এনিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠক করা হলেও সমঝোতা হয়নি। এতে ক্ষোভ ও অভিমান হয় তাদের।
এর জেল ধরে গত ১৩ জানুয়ারি (রবিবার) রাত অনুমান ১০ টার দিকে বাড়ির পাশের অবস্থিত একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে প্রেমিক যুগল গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক তাদেরকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর ১৪ জানুয়ারি (সোমবার) ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা কেয়া আক্তার টপিকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ওই দিন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রেমিক আজিজুল হক।
স্থানীয়রা জানান, টপির এর আগে বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওযায় তাকে তালাক দেয়। সেই পক্ষের সাত বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনায় পর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।
⇘সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।