![]() |
মেলান্দহ উপজেলার ৫নং চর উত্তর রস্তুম আলী মাস্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা |
মিঠু আহমেদ, জামালপুর ॥ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ৫নং চর উত্তর রস্তুম আলী মাস্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গত দুই বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকই শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা। স্কুলটিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন একজন প্রধান শিক্ষক ও দুইজন প্রেষণ শিক্ষক। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা জানান।
স্কুল ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানাযায়, দুর্গম চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা মেলান্দহ উপজেলার ৫নং চর উত্তর রস্তুম আলী মাস্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। দুই বছর আগে বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় পনেরশ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হলেও শিক্ষক ও রাস্তার সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। এই অজপাড়া গায়ে শিক্ষক দিলেও যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল না থাকার কারণে কোন শিক্ষকই সেখানে যেতে চান না। তাই এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত রাস্তা ও শিক্ষক সংকট দূর করা খুবই প্রয়োজন।
৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাবিনা বলেন, আমাদের স্কুলে একজন প্রধান শিক্ষক রয়েছে। একজন শিক্ষক দিয়ে দেড়শত শিক্ষার্থীর পাঠদান করা সম্ভব না। ফলে আমাদের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। যদি আমাদের স্কুলে ৩ থেকে ৪ জন সহকারী শিক্ষক দেওয়া হয় তাহলে আমাদের চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান অনেক ভাল হবে।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, শিক্ষক না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় শিক্ষক দেওয়ার জন্যে অনুরোধ করেছি। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক দিবেন বলেও আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ্ জামাল বলেন, রাস্তা বিহীন এই চরাঞ্চলের স্কুলটিতে কোন শিক্ষকই আসতে চায় না। ২ জন প্রেষণ শিক্ষক রয়েছে। তারা প্রায় ১০-১২ কি: মিটার দুর থেকে আসে। স্কুলটিতে আসার সময় আমাদের প্রায় ২ কি: মিটার রাস্তা পায়ে হেটে স্কুলটিতে আসতে হয়। প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্যে যে পরিমাণ শিক্ষক প্রয়োজন এখানে তা নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। আমি বলবো দ্রুত সময়ের মধ্যে সহকারী শিক্ষক খুবই প্রয়োজন।
মেলান্দহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা পারভীন বলেন, রুস্তম আলী মাস্টার প্রাঃ বিদ্যালয়টি ১৫’ শ বিদ্যালয়ের আওতাধীন। এখানে ২টি পদ সৃষ্টি করে বিদ্যালয়টি চালু করা হয়েছে। দুটি পদেই সেখানে ডেপুটেশনের দুইজন শিক্ষক দিয়েছিলামা। গত বৎসর এখানে একটি পদ সৃষ্টি করে একজন প্রধান শিক্ষক চলতি দায়িত্ব থেকে দেয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তিনজন শিক্ষক রয়েছে। আমাদের ইচ্ছা আছে সেখানে ৪জন শিক্ষক দেওয়ার। ৪ জন শিক্ষক ছাড়া ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো খুবই কষ্টর। বিদ্যালয়টি দূর্ঘম এলাকায় সেখানে রাস্তাঘট পর্যন্ত নেই নৌকা ও পায়ে হেটে যেতে হয়। এ অবস্থায় আসলে আশে পাশে এমন শিক্ষক নেই যে সেখানে দিবো। যেহেতু সেখানে শুন্যপদ রয়েছে। তবে জানুয়ারী থেকে আমাদের পদলী প্রক্রিয়া শুরু হবে তখন সেখানে একজন শিক্ষক দিবো। আমরা জানতে পেরেছি একজন শিক্ষকের
স্কুল ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানাযায়, দুর্গম চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা মেলান্দহ উপজেলার ৫নং চর উত্তর রস্তুম আলী মাস্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। দুই বছর আগে বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় পনেরশ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হলেও শিক্ষক ও রাস্তার সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। এই অজপাড়া গায়ে শিক্ষক দিলেও যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল না থাকার কারণে কোন শিক্ষকই সেখানে যেতে চান না। তাই এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত রাস্তা ও শিক্ষক সংকট দূর করা খুবই প্রয়োজন।
৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাবিনা বলেন, আমাদের স্কুলে একজন প্রধান শিক্ষক রয়েছে। একজন শিক্ষক দিয়ে দেড়শত শিক্ষার্থীর পাঠদান করা সম্ভব না। ফলে আমাদের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। যদি আমাদের স্কুলে ৩ থেকে ৪ জন সহকারী শিক্ষক দেওয়া হয় তাহলে আমাদের চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান অনেক ভাল হবে।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, শিক্ষক না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় শিক্ষক দেওয়ার জন্যে অনুরোধ করেছি। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক দিবেন বলেও আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ্ জামাল বলেন, রাস্তা বিহীন এই চরাঞ্চলের স্কুলটিতে কোন শিক্ষকই আসতে চায় না। ২ জন প্রেষণ শিক্ষক রয়েছে। তারা প্রায় ১০-১২ কি: মিটার দুর থেকে আসে। স্কুলটিতে আসার সময় আমাদের প্রায় ২ কি: মিটার রাস্তা পায়ে হেটে স্কুলটিতে আসতে হয়। প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্যে যে পরিমাণ শিক্ষক প্রয়োজন এখানে তা নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। আমি বলবো দ্রুত সময়ের মধ্যে সহকারী শিক্ষক খুবই প্রয়োজন।
মেলান্দহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা পারভীন বলেন, রুস্তম আলী মাস্টার প্রাঃ বিদ্যালয়টি ১৫’ শ বিদ্যালয়ের আওতাধীন। এখানে ২টি পদ সৃষ্টি করে বিদ্যালয়টি চালু করা হয়েছে। দুটি পদেই সেখানে ডেপুটেশনের দুইজন শিক্ষক দিয়েছিলামা। গত বৎসর এখানে একটি পদ সৃষ্টি করে একজন প্রধান শিক্ষক চলতি দায়িত্ব থেকে দেয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তিনজন শিক্ষক রয়েছে। আমাদের ইচ্ছা আছে সেখানে ৪জন শিক্ষক দেওয়ার। ৪ জন শিক্ষক ছাড়া ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো খুবই কষ্টর। বিদ্যালয়টি দূর্ঘম এলাকায় সেখানে রাস্তাঘট পর্যন্ত নেই নৌকা ও পায়ে হেটে যেতে হয়। এ অবস্থায় আসলে আশে পাশে এমন শিক্ষক নেই যে সেখানে দিবো। যেহেতু সেখানে শুন্যপদ রয়েছে। তবে জানুয়ারী থেকে আমাদের পদলী প্রক্রিয়া শুরু হবে তখন সেখানে একজন শিক্ষক দিবো। আমরা জানতে পেরেছি একজন শিক্ষকের
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।