
সেবা ডেস্ক: জামালপুরে এক হিন্দু নারীকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে এবং অপর নারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা ও তাদের জমি বেদখলের অভিযোগ উঠেছে।
জামালপুর সদরের কেন্দুয়া কালিবাড়ির খামারপাড়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক সুমন দেবনাথ অভিযোগ করেন, তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে স্থানীয় মোকছেদ আলীর পুত্র সুলতান মাহমুদ ফকিরের সাথে। ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ থাকলেও (১৮ এপ্রিল) বুধবার বিরোধপূর্ণ জমিসহ পাশের আরো ১৬ শতাংশ জমি জবর দখল করে নেয় সুলতান মাহমুদ ফকির।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করার সুমন দেবনাথের মা ৫৮ বছর বয়সী প্রতিভা দেবনাথকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। সে সময় প্রতিভা দেবনাথের নাতী স্কুল শিক্ষিকা সুবর্ণা দেবনাথকেও লাঞ্ছিত করা হয়।
নির্যাতনের ঘটনায় সদর উপজেলার নারায়নপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সাধারণ ডায়েরি এবং পরদিন সদর থানায় সুলতান মাহমুদ ফকিরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নির্যাতিত পরিবার। শুক্রবার ১৯ এপ্রিল পুলিশ মামলার আসামী নজরুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। রোববার (২১ এপ্রিল) মামলার আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে।
সুলতান মাহমুদ ফকির নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিজের ক্রয় করা জমি তিনি দখলে নিয়েছেন। জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালেমুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি শুনেছেন রোববার আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে।
এ দিকে সোমবার দুপুরে শহরের দয়াময়ী চত্তরে সংখ্যালঘু নারীদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার সোম রানু, সাধারন সম্পাদক সিদ্ধান্ত শংকর রায়, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজু, অ্যাডভোকেট নির্মল কান্তি ভদ্র প্রমুখ।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।