
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অবমাননা মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র বেলাল হোসেন। এ বিষয়ে দায়ের করা একটি মামলার তদন্ত শেষে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
অভিযুক্ত মেয়র বেলাল হোসেন আগে বিএনপি করলেও সম্প্রতি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, পৌর এলাকার মরাগাঙ্গী নামক স্থানে একটি সেতুর নাম ফলক লাগানো হয়।
পৌরসভার অর্থায়নে সাবেক থানা বিএনপির সভাপতি মরহুম আবুল লতিফ এর নামে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির নাম দেয়া হয় আব্দুল লতিফ সেতু। এই সেতুর পূর্বপ্রান্তে নামক ফলকের পিলারের এক পার্শ্বে জাতির জনকের ছবি ও অপর পার্শ্বে মেয়র বেলাল হোসেন একই মাপে ছবি লাগানো হয়।
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নিজের ছবি একই মাপে লাগানোর কারণে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় দুপচাঁচিয়া চৌধুরী পাড়ার ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক পরিচালক জাহেদুর রহমান বাদী হয়ে গত বছরের ৭ জানুয়ারি বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি হিসেবে আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়াকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়ার উপপরিদর্শক মুনছুর আলী তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২০ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার শুনানীর জন্য ২৮ এপ্রিল দিন ধার্য্য করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়, দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র বেলাল হোসেন যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সমর্থক। তিনি গোলাম আযমের মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন সময় জনসভা করে জনগণকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তিনি বিএনপির রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কিন্তু দায়িত্ব অবহেলা করে ইচ্ছাকৃতভাবে জাতির জনকের ছবি বিকৃত করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে হেয় প্রতিপন্ন করায় জনসাধারনের দৃষ্টি ও অনুভূতিতে মানসিকভাবে আঘাত করেছে। তিনি ৫০৫ ধারায় অপরাধ করেছেন বলে বলা হয়।
এ প্রসঙ্গে দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র বেলাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, এই ভুল অনিচ্ছাকৃত। আমি এ জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। পরে এই ছবিটি সঠিকভাবে লাগিয়ে দেওয়া হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়ার উপপরিদর্শক মুনছুর আলী মুঠোফোনে জানান, আমরা তদন্ত করে যা পেয়েছি সে ভাবেই প্রতিবেদন দাখিল করেছি। এখন আদালত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে।
⇘সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।