
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া : বগুড়ায় দুই দল সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে এক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরের উপশহর-ধরমপুর সংযোগকারী ধুন্দল ব্রিজের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে সুবিল খালপাড়ে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত রাফিদ আনাম স্বর্গ (২২) বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া শহীদনগর এলাকার মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে। তার বাবা লিয়াকতও ছিল বগুড়া শহরে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন। পেশাদার খুনি হিসেবে লিয়াকত পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিল। ২০০৪ সালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে লিয়াকত নিহত হয়।
পুলিশ জানায়, বৃস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ধুন্দল ব্রিজ এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনে পুলিশের কয়েকটি দল সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, এক রাউন্ড গুলি এবং একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান তাকে উদ্ধার করে। টহল পুলিশের গাড়িতে দ্রæত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে উপস্থিত লোকজন তাকে ঠনঠনিয়া শহীদ নগর (খান্দার) এলাকার সন্ত্রাসী ‘স্বর্গ’ হিসেবে শনাক্ত করে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) সনাতন চক্রবর্তী জানান, পুলিশের রেকর্ডে দেখা যায় নিহত স্বর্গের নামে বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর থানায় খুন, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে সাতটি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি শাজাহানপুরের জামাদারপুকুর এবং শহরের খান্দার-মালগ্রাম এলাকায় সে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
উল্লেখ্য, কিশোর বয়সেই স্বর্গ দুর্ধষ সন্ত্রাসী হিসেবে বগুড়া শহরে পরিচিত হয়ে উঠে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে স্বর্গ দুইটি খুনের সঙ্গে জড়িত হয়। একপর্যায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যায়। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকাকালে সেখানেই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে একটি গ্রæপ তৈরি করে। গত তিন মাস আগে স্বর্গ ও লিখন নামের দুই সন্ত্রাসী জামিনে মুক্তি পায়। এরপর তারা স্বর্গের নানা বাড়ি নন্দীগ্রাম থানা এলাকায় আশ্রয় নিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল।
এছাড়াও স্বর্গ জামিনে মুক্তি পেয়ে বগুড়া সদর থানার সাবেক এক ওসিকে হত্যার হুমকি দেয়। ২০০৪ সালে তার বাবা লিয়াকত ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার সময় ওই ওসি বগুড়া সদর থানায় কর্মরত ছিলেন।
⇘সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।