রাজধানীতে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং কালচার!

S M Ashraful Azom
0
রাজধানীতে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং কালচার!
সেবা ডেস্ক: এলাকায় প্রভাব বিস্তার, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ জড়িয়ে পড়ছে বড় অপরাধে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদকে মেতেছে কিশোররা। সারাক্ষণ বুঁদ হয়ে থাকছে নেশার ঘোরে। হয়ে উঠছে অসহিষ্ণু। ঠুনকো ঘটনা ঘিরেও জড়িয়ে পড়ছে সহিংসতায়। পাড়া-মহল্লায় দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানো, স্কুল-কলেজের সামনে আড্ডা, মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া, তরুণীদের উত্ত্যক্ত করা, দল বেঁধে মাদক সেবন, এক স্টাইলে চুল কাটাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করতে গড়ে তুলছে ‘কিশোর গ্যাং’।

দিন দিন তারা হয়ে উঠছে ভয়াবহ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারে এসব গ্রুপ গড়ে উঠছে হরদম। এক গ্রুপের দেখাদেখি জন্ম নিচ্ছে আরেক গ্রুপ। প্রতিটি গ্রুপের কাছে রয়েছে ধারালো অস্ত্র। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে প্রতিপক্ষ ভাবলে ঘটছে খুনোখুনির ঘটনা। সিনিয়র-জুনিয়র বা নারীঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটছে হত্যাকাণ্ড। শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে এমন কিশোর গ্যাংয়ের নেটওয়ার্ক।

সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে কয়েকটি গ্যাং এর সদস্য। র‍্যাব বলছে, কিশোর অপরাধ কমাতে কাজ করছেন তারা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কিশোর অপরাধের দায় নিতে হবে পরিবার আর রাষ্ট্রকেই।

২০১৭ সালের জানুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় স্কুল ছাত্র আদনান হত্যার পর আলোচনায় আসে কিশোর গ্যাং। ডিসকো বয়েস, নিউ নাইন স্টার, নিউ আইকনসহ বেশ কিছু কিশোর গ্যাং, আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এলাকা ভিত্তিক অপরাধ, প্রভাব বিস্তার ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে তারা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সম্প্রতি ধরা পড়ে গাজীপুরের নবম শ্রেণীর ছাত্র শুভ হত্যার চার আসামী। এরা সবাই কিশোর গ্যাং এর সদস্য। সোমবার টঙ্গীর তুরাগ থেকে গ্রেপ্তার হয় নিউ নাইন স্টার গ্রুপের ১১ সদস্য। যাদের প্রায় সবার বয়স ২০ এর নিচে।

কেন বাড়ছে কিশোর অপরাধ, কেন গ্যাং কালচারে জড়িয়ে যাচ্ছে শিশু কিশোররা। গ্যাং এর সদস্যরা বলছে, এলাকায় ক্ষমতা আর প্রভাব খাটাতে গ্রুপে নাম লেখায় তারা।

র‌্যাব-১ অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, এসব গ্যাং কালচারগুলো সাধারণত এলাকায় নিজেদের প্রভাব জাহির করতে চায়। এর আগেও এসব গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই মারামারির ঘটনা ঘটেছে, তবে মামলা হয়নি। কিশোরদের মধ্যে খুন করার প্রবণতার কারণ সমাজের ক্ষয়িষ্ণুতা। এছাড়া, মাদকের একটা প্রভাব আছে বলে মনে করছেন তিনি।

সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশ্লেষণ করে শুধু টঙ্গি এলাকায় ৫-৬টি গ্রুপ সক্রিয়ে রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা এসব গ্যাং কালচার গ্রুপের মূলে যাব। আগামী ৫-১০ বছর পর্যন্ত ওই এলাকায় আর গ্যাং কালচার থাকবে না। গ্যাং কালচার সমূলে উৎপাটনের চেষ্টা করছি। কিশোরদের এসব গ্যাং গ্রুপে জড়িয়ে যাওয়া এড়াতে সন্তানদের ফলোআপে রাখতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আকিব উল হকের মতে, পরিবারের সঠিক নজরদারির অভাবে বাড়ছে কিশোর অপরাধ।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top