
সেবা ডেস্ক: টাকার অভাবে ছোট্ট শিশু সন্তানের চোখের অপারেশন করাতে পারছেন না জামালপুরের বকশীগঞ্জের সিএনজি চালক অসহায় দরিদ্র বাবা। তাই সন্তানের চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের কাছে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন দরিদ্র পরিবারটি। সকলের সহযোগীতা পেলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে ফুটফুটে শিশু আয়শা।
জানাযায়,বকশীগঞ্জ পৌরশহরের বাসিন্দা সিএনজি চালক আবদুর রাজ্জাক ওরফে চানঁ মিয়ার ১০ বছর বয়সী মেয়ে বুশরা আক্তার আয়শা। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ২য় শ্রেনীতে পড়ে। আয়শার বয়স যখন ৭ বছর তখন তার বাম চোখের সমস্যা দেখা দেয়। চোখটি ফুলে অনেক বড় হয়ে গেছে। যে কারনে সে ঠিকমত ঘুমাতে পারেনা। তখন থেকেই অতিকষ্টে ধারদেনা করে মেয়ের চিকিৎসা করিয়ে আসছে দরিদ্র পিতা চাঁন মিয়া।
জামালপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। সবশেষ চলতি মাসে ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে শিশু আয়শাকে নিয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আয়শার চোখের অপারেশন করতে হবে।
অপারেশন করতে ও যাবতীয় খরচসহ প্রায় ৮০ হাজার টাকা লাগবে। কিন্তু দরিদ্র সিএনজি চালক চানঁ মিয়ার পক্ষে একলাখ টাকা যোগাড় করা অসম্ভব। তাই অপারেশন না করিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। বর্তমানে মেয়েটি চোখের যন্ত্রনায় অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে। তাই নিরুপায় হয়ে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন তিনি। মাত্র ৮০ হাজার টাকা হলে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে ফুটফুটে শিশু আয়শা।
শিশুটির বাবা সিএনজি চালক আবদুর রাজ্জাক ওরফে চানঁ মিয়া বলেন,মেয়ের কষ্ট আর সহ্য হয়না। সহায় সম্বল যেটুকু ছিলো গত তিন বছরে মেয়ের চিকিৎসা করে শেষ হয়ে গেছে। দ্বারদেনা করে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অপারেশন করলে চোখ ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু আমার পক্ষে এতটাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তশালীরা যদি আমার ছোট্ট মেয়ের চিকিৎসার জন্য সহযোগীতার হাত বাড়ান তাহলে হয়তো অপারেশন করা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে-চানঁমিয়া ০১৭৫৪৭৯৬৯৭৮ (বিকাশ)।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।