বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জের নগর মামুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে এডহক কমিটি গঠনের পাঁয়তারা করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
জানা গেছে, বাট্টাজোাড় নগর মামুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য গত ০৩.১২.২০১৮ ইং তারিখে একটি এডহক কমিটি অনুমোদন দেন ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড। এরপর গত ০৭.০৪.২০১৯ ইং তারিখে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সে অনুসারে গত ১৬.০৪.২০১৯ইং প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২৭.০৪.২০১৯ইং তারিখে ম্যানেজিং কমিটির বিভিন্ন ক্যাটাগরির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় ২ জন শিক্ষক প্রতিনিধি, ১ জন সংরক্ষিত মহিলা প্রতিনিধি, ১ জন সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য ও ১ জন দাতা সদস্য নির্বাচিত হন। গত ০৩.০৬.২০১৯ইং তারিখে গঠিত এডহক কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়।
এরমধ্যে স্থানীয় একজন অভিভাবক এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জামালপুর বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে আটকে যায় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন।
কিন্তু মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিজল হক নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য তথ্য গোপন করে গত ০১.০৭.২০১৯ ইং তারিখে ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে দ্বিতীয়বার এডহক কমিটির গঠনের অনুমতি চান। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৪.০৭.২০১৯ইং তারিখে এডহক কমিটি গঠনের অনুমতি প্রদান করেন শিক্ষাবোর্ড।
এ খবর জানাজানি হলে পূর্বের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দ্বিতীয়বার এডহক কমিটি অনুমোদন না দিতে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত আবেদন করেন। গত ১৮ আগস্ট শিক্ষক প্রতিনিধি ও অভিভাবক সদস্য সহ ৮ জন এই আবেদন করেন।
তারা প্রধান শিক্ষকের আবেদন করা এডহক কমিটি গঠনের অনুমতি না দিতে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি মো. রুহুল আমিন জানান, প্রধান শিক্ষক স্বার্থ হাসিলের জন্য গোপনে এডহক কমিটি গঠনের পায়তারা করছেন। বিজ্ঞ আদালতে দায়েরকৃত মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই এডহক কমিটির অনুমোদন নেওয়ার জন্য গোপনে তদবির করছেন প্রধান শিক্ষক সহিজল হক।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, আদালত এডহক কমিটির বিষয়ে কোন আদেশ না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক বোর্ডের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।
প্রধান শিক্ষকের সাথে মোবাইলে বারবাার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।