রেজাউল করিম বকুল, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে উপজাতি কৃষক খুন হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছে। হত্যার অভিযোগে গণধোলাইয়ের পর ৩ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মদ্যপ তিন ব্যক্তির হাতে খুন হয়েছেন সুনীল মারাক (৪৫) নামে এক উপজাতি কৃষক। আহত হয়েছে আরও দুইজন। তবে হামলাকারী তিনজনকে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের কালাপানি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের কৃষক সুনীল মারাক স্ত্রী, সন্তান ও মেয়ের জামাতাদের নিয়ে বুরুঙ্গা কালাপানি এলাকায় বোরো ধান কেটে বাড়ি আনছিলেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে কাটা ধানের আঁটি ভ্যান গাড়িতে বোঝাই করে বাড়ি আনার পথে মদ্যপ তিন ব্যক্তি বিপরীত দিকে থেকে মোটরসাইকেলে যাওয়ার পথে ভ্যান গাড়িতে ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। এ ঘটনায় তারা সুনীলের স্ত্রী দীবাশ মারাকের গায়ে হাত তোলে।
এসময় এর প্রতিবাদ করতে গেলে বিতর্কের একপর্যায়ে যুবকেরা ছুড়ি বের করে হামলা করে। এতে সুনীল ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। আহত হয় স্ত্রী দীবাশ ও মেয়ের জামাতা আনতুন। এদিকে হামলা ও চেচামেচির শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে হামলাকারীদের আটক করে গণধোলাই দেয় ও আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতি হাসপাতালে প্রেরণ করে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ও আটক তিনজনকে হেফাজতে নেয়। আটককৃত হামলাকারীদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে দুইজনের নাম জানা গেছে। এরা হলো- জামালপুরের স্বপন (২৮) ও ধোবাউরা উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকার পিরেন্দ্র সাংমা (৫০)। অজ্ঞান থাকায় অপরজনের নাম এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। তবে তার বয়স ত্রিশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল লাশ উদ্ধার ও আটক তিনজনকে হেফাজতে নেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।