
কাজিপুর প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকীর প্রচেষ্টায় এতিমদের নামে বরাদ্দকৃত দুই লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। রবিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ইউএনও ওই টাকাগুলো উদ্ধার করে এতিম খানার বৈধ তত্বাবধায়কের হাতে তুলে দেন।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের চকপাড়া মোহাম্মদ আলী শিশু সদন এতিমখানার নামে প্রতি বছর সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয় থেকে দুই দফায় ৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। গত মে মাসে এর প্রথম দফার দুই লাখ ৪৪ হাজার টাকা সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ওই এতিমখানার প্রধান আল আমিন হুজুর ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন। এরপর করোনার দোহাই দিয়ে তিনি আর এতিমখানায় যাননি। টাকাও জমা দেননি। পরে এতিমখানা পরিচালনার সাথে যুক্ত স্থানীয় লোকজন আল আমিন হুজুরকে টাকার জন্যে চাপ দিলে তিনি টাকা না দিয়ে এতিম খানার চাবি লোক মারফত পাঠিয়ে দেন । অথচ তিনি ওই টাকা খরচের বিল-ভাউচার তৈরি করেন। বিষয়টি কাজিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ বাবলু অবগত হয়ে তিনি কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান।
রবিবার দুপুরে ইউএনও তার অফিসে এতিমখানার প্রধান আল আমিন হুজুর, এতিমখানা পরিচালনাকারী অন্যান্য সদস্যগণ ও কাজিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের কথা শোনেন। শোনা জানার এক পর্যায়ে ওই হুজুর সব দায় স্বীকার করে নিয়ে দুই লাখ টাকা এতিখানাকে প্রদান করবেন মর্মে মুচলেকা দেন। তাৎক্ষণিক তিনি এক লাখ টাকা প্রদান করেন। আর কুড়ি হাজার টাকার তিনি মাটি কেটেছিলেন বলে জানান।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী এতিমদের টাকা উদ্ধার হয়েছে স্বীকার করে জানান, “ এ বিষয়ে ওই এতিমখানা পরিচালনাকারীদেরও সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরী। তারা তৎপর থাকলে এতিমদের টাকা নয়-ছয় হবার সুযোগ থাকবে না।”
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।