বকশীগঞ্জে মাদ্রাসায় ঢুকতে পারছেন না সুপার

S M Ashraful Azom
0

 : জামালপুরের বকশীগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রে সুপারের ওপর হামলার পর সেই মাদ্রাসা সুপারকে এক সপ্তাহ ধরে মাদ্রাসায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সুপারকে মাদ্রাসায় না ঢুকতে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে হামলাকারীরা। 

বকশীগঞ্জে মাদ্রাসায় ঢুকতে পারছেন না সুপার



 এ ঘটনায় মাদ্রাসা সুপার মো. আ: ছাত্তার ১ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার মালিরচর মৌলভী পাড়া দাখিল 

মাদ্রাসায় নবসৃষ্ট পদে একজন নিরাপত্তা কর্মী ও একজন আয়া পদে নিয়োগের জন্য সকল  প্রস্তুতি গ্রহণ করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২ টায় পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এর প্রতিনিধি উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) জাহাঙ্গীর আলম , উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছরুয়ার আলম, মাদ্রাসার সুপার মো. আ: ছাত্তার, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল হামিদ ও শিক্ষক প্রতিনিধি মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে পরিকল্পিতভাবে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক গোলাম সারোয়ার , মাদ্রাসার অফিস সহায়ক খায়রুল ইসলাম, স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম, আ: খালেক সহ তাদের লোকজন মাদ্রাসার সুপার আ: ছাত্তার ও সংশ্লিষ্টদের হামলা চালায়। পরীক্ষার পন্ডের পর নিরাপত্তাজনিত কারণে নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। 

এদিকে মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষা পন্ড ও সুপার মো. আ: ছাত্তারের ওপর হামলার পর থেকে মাদ্রাসায় যেতে পারছেন না তিনি। ফলে মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দাপ্তরিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্যাঘাত ঘটছে। এরকম উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে মাদ্রাসায় শিক্ষার পরিবেশ হুমকির মুখে পরেছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  

মাদ্রাসার সুপার মো. আ: ছাত্তার বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম সারোয়ার ও অফিস সহায়ক খায়রুল ইসলাম তাদের পছন্দের এক প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে আমাকে চাপ প্রয়োগ করেন আমি অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। আমি এসবে রাজী না হওয়ায় মাদ্রাসার মাঠে আমার ওপর হামলা চালায়।

নিয়োগ পরীক্ষার পন্ড করে দেওয়ার পর অভিযুক্তরা এখন প্রকাশ্যে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তারা আমাকে মাদ্রাসায় না যেতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। আমি মাদ্রাসায় গেলে আমাকে খুন করারও হুমকি দেয়া হচ্ছে। 

সুপারের ওপর হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত খায়রুল ইসলাম ও অন্যান্যদের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. সোহেল রানা জানান, হুমকি দেওয়া হচ্ছে কি না মাদ্রাসার সুপার আমাকে এখনো জানায় নি। হুমকির বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লুৎফুন নাহার জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি, মাদ্রাসায় ঢুকতে না দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে কি করা যায় দেখব।



শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top