রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ট্রিপুল মাডার এর ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের অনেকেই ধরাছোয়ার বাহিরে রয়েছে। আসামী গ্রেফতারের অভিযান ধীরগতি হওয়ায় নানা ধরণের গুনজন উঠেছে সচেতন মহলের মাঝে।
নিহত পরিবারের দাবী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রæত গ্রেফতার করা হোক। পুলিশ বলছেন তথ্যপ্রক্তুক্তি ব্যবহার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সহযোগিতায় অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
খুব শীঘ্রই আসামী ধরতে পারবো। এর আগে দুই মহিলাসহ ৮ জনকে আটক করেছে রৌমারী থানার পুলিশ। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই উপজেলার রৌমারী ইউনিয়নের ভুন্দুর চর গ্রামে জমিতে চাষাবাদকে কেন্দ্র করে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ফুলবাবু, বুলু মিয়া ও নুরুল আমিন নিহত হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের নারী-পুরুষসহ আহত হয়েছেন অনন্ত ১১ জন।
আরও পড়ুন:
ঘটনার পর কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। পুলিশ ওইদিন অভিযান চালিয়ে ৭ জন আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়। শাহজামাল ও চাচা গোলাম রব্বানীর মধ্যে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত প্রায় ৩ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এ নিয়ে উভয় পক্ষে কয়েক দফা মারামারি এবং আদালত ও থানায় পাল্টাপাল্টি ডজনখানেক মামলা রয়েছে। সংঘর্ষে শাহজামালের পক্ষের ফুলবাবু, বুলু মিয়া ও নুরুল আমিন নামের চাচা-ভাতিজা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন পুলিশ। এঘটনায় নিহতের ভাই শাহাজামাল বাদী হয়ে ৩৪ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামী করে রৌমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।