সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশের মানুষ আজ স্বপ্ন দেখছে, একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের। কিন্তু সেই স্বপ্নকে বানচাল করতে আবারও শুরু হয়েছে নোংরা ষড়যন্ত্র।
গতকাল নূরের মিছিলে হামলা নিছক দুর্ঘটনা ছিল না। এটি ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে হঠাৎ উত্তেজনামূলক স্লোগান, মিছিল আর হামলা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়—আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে অতীতেও জাতীয় পার্টি একই ভূমিকা পালন করেছিল। এবারও তারা সেই পুরনো চরিত্র উন্মোচন করেছে।
আজ একটি ভয়ংকর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে—যে কোনো ঘটনার দায় সেনাবাহিনীর ওপর চাপানো। অথচ কাকরাইলের ঘটনায় সেনাসদস্যরা নিজের জীবন বাজি রেখে নূরকে উদ্ধার করেছে, অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে শুয়ে আছে। তারপরও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার—এটা শুধু জনগণের আস্থা ভাঙার ষড়যন্ত্র।
ঘটনার আরেক দিক হলো বিদেশি ইউটিউবারদের ভূমিকা। তারা হামলাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে, উদ্দেশ্য একটাই—বাংলাদেশের নির্বাচনকে বিতর্কিত করে তুলতে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে।
সরকার এ হামলাকে ন্যাক্কারজনক ও অগ্রহণযোগ্য বলেছে। প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে নূরের চিকিৎসার খবর নিয়েছেন এবং দোষীদের বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। জাতীয় পার্টির অতীত সহযোগিতা ও বর্তমান ভূমিকা বিবেচনায় তাদের কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদী শাসনের দমন-পীড়ন সহ্য করেছে। ফলে অনেক সময় ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে যায়। তবে সরকার স্পষ্ট করেছে—সহিংসতা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বত্র পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছে।
জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও ওয়াসিমের রক্তে নির্মিত নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের জায়গা নেই। ইতিহাস শিক্ষা দেয়—যেমন ব্রিটেনে চার্লস প্রথমের পর অলিভার ক্রমওয়েলকেও প্রতীকীভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, যাতে একনায়কতন্ত্র আর মাথাচাড়া দিতে না পারে।
বাংলাদেশকেও সেই শিক্ষা নিতে হবে। ষড়যন্ত্র, প্রহসন আর একনায়কতন্ত্রকে বাংলার মাটি থেকে চিরতরে মুছে ফেলতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন—সময়মতো নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে গণতন্ত্রের পথে, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে জনগণের হাতে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।