সেবা ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। একই মামলার আরেক আসামি মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মাদ পলাতক রয়েছেন।
আজ শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের মেস আলফায় এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় গত বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর মধ্যে ২৫ জনই সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা।
মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান জানান, অভিযুক্ত ২৫ সেনা সদস্যের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, ১ জন এলপিআরে (লিভ প্রিপেয়ারেশন রিজার্ভ) এবং ১৫ জন বর্তমানে সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এলপিআর ও সার্ভিসে থাকা ১৬ জনকে সেনাসদরে সংযুক্ত হতে বলা হয়।
৯ অক্টোবরের মধ্যে সেনাসদরে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মাদ ছাড়া বাকি ১৫ জন সেনাসদরে হাজির হয়েছেন। তারা পরিবার থেকেও আলাদা থাকছেন।
আরও পড়ুন:
মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মাদের বিষয়ে তিনি বলেন, 'তিনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়েছেন। এর পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবিকে বলা হয়েছে যেন তিনি দেশত্যাগ করতে না পারেন।'
সংবাদ সম্মেলনে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান জানান, সেনাবাহিনী সংবিধান স্বীকৃত বাংলাদেশের সব আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর তা সংশ্লিষ্ট ১৩টি দপ্তরে পাঠানোর কথা ছিল, কিন্তু এখনো সেনাবাহিনী সেই পরোয়ানা পায়নি। তবে তারা নিজস্ব উদ্যোগে পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এদিকে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার না করায় জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। আজকের সংবাদ সম্মেলনের পর সেই ক্ষোভের কিছুটা নিবারণ হলেও মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মাদের পলায়ন নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
সেনাসদর সূত্র জানায়, হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি পলাতক মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মাদকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কতটা কার্যকর হবে এবং সেনাবাহিনী কতটা সহযোগিতা করবে সে দিকে নজর রাখছেন সবাই।
সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন
সেনাবাহিনী- নিয়ে আরও পড়ুন

খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফ-এর গুলিবিনিময়, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি রয়েছে সেনাবাহিনীর

কাকরাইলে রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষ: সেনাবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীতে অনুপ্রেরণা বিষয়ক সেমিনারের উদ্বোধন

সেনাপ্রধানের সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।