শফিকুল ইসলাম: রৌমারীতে তিন মাস থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, তবুও বিদ্যুৎ বিল সাড়ে ৩ হাজার টাকা সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে পল্লি বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারির বিরুদ্ধে।
![]() |
রৌমারীতে বিদ্যুৎ-সংযোগই নেই, তবু বিল সাড়ে ৩ হাজার টাকা |
সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের টাপুর চর বাজারে। সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায় সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির হাতে ২৫০ টাকার স্থলে সাড়ে ৩ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের টাপুর চর বটতলা মোড়ে ভাড়া দোকান নিয়ে মনোহারি দোকানের ব্যবসা করেন। তাঁর এই মনোহারি দোকানের নামে করা সেপ্টেম্বর মাসের বিদ্যুতের এ বিলটি চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তাঁর হাতে পৌঁছে দেন স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের একজন বিল বিতরণকারী কর্মী।
সংযোগ না থাকলেও ওই বিলে ২১৪১৫০৮২ মিটার নম্বরের বিপরীতে বর্তমানে ব্যবহৃত ৬০ ইউনিট বিদ্যুতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মনোহারি দোকান ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘সম্পূর্ণ কাল্পনিক একটি বিল তৈরি করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার দোকানে বিদ্যুতের কোনো সংযোগ নেই।
জুন মাসে বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ অফিসের মাঠকর্মীরা। এঅবস্থায় জুলাই-আগষ্ট এর দুই মাসের বিল ৫’শ টাকা পরিশোধ করেছি। কিন্তু হঠাৎ সেপ্টেম্বর মাসে আমার নামে ৩ হাজার ৫’শ টাকার বিল পেয়ে আশ্চর্য হয়েছি।
তিনি দাবি করেন, রাতের বেলা তিনি মোমবাতি জ্বালিয়ে দোকান করেন। সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মিটার আছে. কিন্তু সংযোগ নেই, তবুও বিল। আমরা এ কোন দেশে বাস করছি ?
স্থানীয় বাসিন্দা দোকান মালিক মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা সত্বেও দুইমাসের বকেয়া বিল ৫’শ টাকা পরিশোধ করেছি এবং মিটার মালিক পরিবর্তন সহ নতুন করে সংযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।
কিন্তু বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন আমাকে হয়রানি করছে। তারা বলছে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন ঘনঘন লোডশেডিং, স্বচল মিটারকে অচল দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, ব্যবহৃত ইউনিটের সাথে বিদ্যুৎ বিলের মিল না থাকা, লো-ভোলটেস দিয়ে হাই ভোলটেস এর বিল করা হয়।
ওই এলাকায় বিদ্যুৎতের বিল বিতরণকারী বলেন, প্রকৃতপক্ষেই সাইফুলের মনোহারি দোকানে বিদ্যুতের কোনো সংযোগ নেই। আমি শুধু অফিস থেকে পাঠানো বিলের কাগজটি সাইফুলের হাতে পৌঁছে দিয়েছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিটার রিডাররা জানান, মাঠপর্যায়ে বিদ্যুতের বিল বিতরণ ও মিটার দেখে ইউনিট সংগ্রহকারীদের গাফিলতির কারণে হয়তো ওই ব্যক্তি সংযোগ ও মিটার পাননি। যে কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জামালপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি রৌমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এরকম যদি হয়ে থাকে, দোকান মালিক আমার কাছে আসলে সমস্যা সমাধান করবো এবং তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রৌমারী নিয়ে আরও পড়ুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।