সেবা ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার ৮ মে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি। জামিনে একদিকে সরকার পক্ষ যেমন জামিনের বিরোধীতা করবে অন্যদিকে জামিন চাইবে আসামি পক্ষ।
জানা গেছে, এরইমধ্যে জামিনের অযোগ্য হওয়ার পক্ষে সরকার পক্ষের যুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ৬ মে অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলমের নেতৃত্বে সরকার পক্ষের কৌঁসুলিদের বৈঠকে এই যুক্তি বা পয়েন্ট চূড়ান্ত করা হয়।
আরও পড়ুন>>আঞ্চলিক ইস্যু দিয়ে সরকারকে ঘায়েলের অপচেষ্টায় বিএনপি
সরকার পক্ষের যে ৬ যুক্তিতে খালেদা জিয়ার জামিন অযোগ্য বিবেচিত হতে পারে সেগুলো হলো:
প্রথমত, বেগম জিয়া অসুস্থ- বক্তব্যটি কেবল বিএনপির রাজনৈতিক ভাষ্য। দেশের প্রথিতযশা চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড ছাড়াও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা বিশেষ কোনো সমস্যা খুঁজে পায়নি। সরকার প্রয়োজনে আরও উন্নত চিকিৎসা করবে। কাজেই সুনির্দিষ্ট ডাক্তারি সার্টিফিকেট ছাড়া বেগম জিয়া অসুস্থ এটা বলার কোনো সুযোগ নেই। সরকার পক্ষের কৌঁসুলিরা মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট আদালতে উপস্থাপন করবেন।
দ্বিতীয়ত, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বেগম জিয়া জামিন পেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন। বেগম জিয়া বিদেশে গেলে এই মামলার কার্যক্রম অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের যুক্তি হলো, এর আগে তাঁর ছেলে একই রকমভাবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। ওই মামলাগুলো দীর্ঘদিন ঝুলে আছে। এই বিবেচনায় খালেদা জিয়া জামিন পেতে পারেন না।
আরও পড়ুন>>যে কারণে গাজীপুর সিটি নির্বাচন থেকে পিছিয়ে গেলো বিএনপি
তৃতীয়ত, বেগম জিয়া অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং একটি বড় রাজনৈতিক দলের নেতা। তাই তাঁর জামিন হলে আন্দোলন এবং ভয়-ভীতির মাধ্যমে তিনি এই মামলাকে প্রভাবিত করতে পারবেন। এজন্য তিনি জামিন পাওয়ার অযোগ্য।
চতুর্থত, এই মামলার সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা ও জনগণের জানমালের প্রশ্ন জড়িত। জামিন পেলে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নিতে পারেন।
পঞ্চমত, এই মামলার রায়ের সঙ্গে বেগম জিয়ার আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়া ও না নেয়ার প্রশ্ন জড়িত। তাই জামিন পেলে তিনি এই নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করতে পারবেন। জামিনে থাকা অবস্থায় যদি তিনি নির্বাচনের অযোগ্য বিবেচিত হন তাহলে তিনি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারেন।
আরও পড়ুন>>১০ মে মহাশূন্যে ভাসবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১
ষষ্ঠত, বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বক্তৃতা ও বিবৃতিতে বলেছেন, গণআন্দোলনের মাধ্যমে তারা বেগম জিয়াকে মুক্ত করে আনবেন। কোনো আইনের শাসনে বিশ্বাসী মানুষ এভাবে আদালতের উপর অনাস্থা আনতে পারে না। এটা আদালত অবমাননার সামিল। এ কারণে বেগম জিয়ার জামিন পাবার অযোগ্য।
উল্লেখ, জানা গেছে উপরে উল্লেখিত ৬ যুক্তি ছাড়াও আর কিছু যুক্তি উপস্থান করা হবে, যা মূল যুক্তিগুলোর ভীত আরও শক্ত করবে।
আরও পড়ুন>>আঞ্চলিক ইস্যু দিয়ে সরকারকে ঘায়েলের অপচেষ্টায় বিএনপি
সরকার পক্ষের যে ৬ যুক্তিতে খালেদা জিয়ার জামিন অযোগ্য বিবেচিত হতে পারে সেগুলো হলো:
প্রথমত, বেগম জিয়া অসুস্থ- বক্তব্যটি কেবল বিএনপির রাজনৈতিক ভাষ্য। দেশের প্রথিতযশা চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড ছাড়াও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা বিশেষ কোনো সমস্যা খুঁজে পায়নি। সরকার প্রয়োজনে আরও উন্নত চিকিৎসা করবে। কাজেই সুনির্দিষ্ট ডাক্তারি সার্টিফিকেট ছাড়া বেগম জিয়া অসুস্থ এটা বলার কোনো সুযোগ নেই। সরকার পক্ষের কৌঁসুলিরা মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট আদালতে উপস্থাপন করবেন।
দ্বিতীয়ত, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বেগম জিয়া জামিন পেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন। বেগম জিয়া বিদেশে গেলে এই মামলার কার্যক্রম অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের যুক্তি হলো, এর আগে তাঁর ছেলে একই রকমভাবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। ওই মামলাগুলো দীর্ঘদিন ঝুলে আছে। এই বিবেচনায় খালেদা জিয়া জামিন পেতে পারেন না।
আরও পড়ুন>>যে কারণে গাজীপুর সিটি নির্বাচন থেকে পিছিয়ে গেলো বিএনপি
তৃতীয়ত, বেগম জিয়া অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং একটি বড় রাজনৈতিক দলের নেতা। তাই তাঁর জামিন হলে আন্দোলন এবং ভয়-ভীতির মাধ্যমে তিনি এই মামলাকে প্রভাবিত করতে পারবেন। এজন্য তিনি জামিন পাওয়ার অযোগ্য।
চতুর্থত, এই মামলার সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা ও জনগণের জানমালের প্রশ্ন জড়িত। জামিন পেলে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নিতে পারেন।
পঞ্চমত, এই মামলার রায়ের সঙ্গে বেগম জিয়ার আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়া ও না নেয়ার প্রশ্ন জড়িত। তাই জামিন পেলে তিনি এই নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করতে পারবেন। জামিনে থাকা অবস্থায় যদি তিনি নির্বাচনের অযোগ্য বিবেচিত হন তাহলে তিনি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারেন।
আরও পড়ুন>>১০ মে মহাশূন্যে ভাসবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১
ষষ্ঠত, বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বক্তৃতা ও বিবৃতিতে বলেছেন, গণআন্দোলনের মাধ্যমে তারা বেগম জিয়াকে মুক্ত করে আনবেন। কোনো আইনের শাসনে বিশ্বাসী মানুষ এভাবে আদালতের উপর অনাস্থা আনতে পারে না। এটা আদালত অবমাননার সামিল। এ কারণে বেগম জিয়ার জামিন পাবার অযোগ্য।
উল্লেখ, জানা গেছে উপরে উল্লেখিত ৬ যুক্তি ছাড়াও আর কিছু যুক্তি উপস্থান করা হবে, যা মূল যুক্তিগুলোর ভীত আরও শক্ত করবে।