‘খালেদা ও তারেককে বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্বের পথে বিএনপি’

S M Ashraful Azom
‘খালেদা ও তারেককে বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্বের পথে বিএনপি’

সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের ভাড়া করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করার জন্য মাঠে নেমেছে। খালেদা-তারেককে মাইনাস করে নতুন নেতৃত্বের পথে এগিয়ে যাচ্ছে দলটি। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার পরিবর্তে বি. চৌধুরী তাদের দলের নেতা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আর তারেক জিয়াকে নেতৃত্ব থেকে অপসারণ করে মাহি বি চৌধুরীকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির তরুন নেতাদের আইকন হিসেবে বসানো হচ্ছে বলেই জানা গেছে। 

সূত্র বলছে, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ফখরুলপন্থী নেতারা দুর্নীতিবাজ খালেদা-তারেককে মাইনাস করে বি. চৌধুরী ও মাহি বি চৌধুরীকে অনানুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্বে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়াও কিছু দিনের মধ্যেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ফখরুলপন্থী নেতারা বি. চৌধুরী ও মাহি বি চৌধুরীর নেতৃত্বের কথা আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিবেন বলেও গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।

জানা যায়, দুর্নীতিবাজ নেতা খালেদা-তারেক জিয়াকে বাদ দিয়েই দল পরিচালনার কথা ভাবছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও বর্ণচোরা রাজনৈতিক নেতারা গণতন্ত্রের ঐক্যের নামে যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন তাও বিশ্বাস করতে পারছেন না তারা। তাই নতুন করে বি. চৌধুরী আর মাহি বি চৌধুরীকে দল পরিচালনার মাধ্যমে একটি সুযোগ দিতে চান জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। এই জন্য অতি গোপনে কেন্দ্রীয় নেতারা দলীয় কার্যালয়ে দুইটি বিশেষ কক্ষ পর্যন্ত তৈরি করেছেন বলেও জানা গেছে। 

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিশ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় নেতা এই গোপন পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্যের নামে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের প্রথম পর্বের নাটক অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিচিত্র এ দেশ স্বাধীনতাবিরোধীদের লালনপালনকারী, বঙ্গবন্ধু খুনিদের সুযোগ-সুবিধাদানকারী, মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান দিয়ে রাজনীতি করেন যারা এবং বর্ণচোরা ১/১১ সরকারের কুশীলবরা জাতীয় ঐক্যের কথা বলে একই মঞ্চে বসে নাটক করেছেন। তারা একই মঞ্চে বসে গণতন্ত্রের নামে নতুন কিছু ঘোষণা দিয়েছেন যা রাজাকারদের দাবির সাথে মিলে যায়। এই গণতন্ত্রের কথা বলেই এক-এগারো সৃষ্টি করা হয়েছিল। ১-১১ কুশীলবরা এ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মানুষ চিনে ও জানে। তারা এক-এগারো সৃষ্টি করে মূলত বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু দেশের জনগণের কাছে পরাস্ত তারা হয়েছিল। তাই হত্যা চেষ্টাকারী-বর্ণচোরা নেতৃত্বকে বাদ দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বি. চৌধুরী ও মাহি বি চৌধুরীকেই আবার নেতৃত্বে নিয়ে আসবেন। 

জানা যায়, দুর্নীতিবাজ, দণ্ডিত ব্যক্তির পক্ষে জাতীয় ঐক্যের নামে মাঠে নেমেছেন ১-১১ কুশীলবরা। জুডিশিয়াল ক্যু ষড়যন্ত্রের মঞ্চে যারা ছিলেন, তারা খালেদা-তারেক রহমানের দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে মাঠে নেমেছেন। সন্ত্রাস, দুর্নীতি এবং খুনের কারখানা হাওয়া ভবন তৈরি করার জন্য নতুন করে একসাথে হয়েছেন বলে বিএনপির নেতারা মনে করছেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ‘A Broken Dream’ নামক বই লিখে ১-১১ কুশীলবদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন যা আন্তর্জাতিক ভাবে দলটির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

খালেদা-তারেক রহমানের প্ররোচনায় তিনি যে জুডিশিয়াল ক্যু করতে চেয়েছিলেন, সেটা পারেননি বলে ওনার হার্টটাই ব্রোকেন হয়ে গেছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সেই ব্রোকেন হার্ট নিয়েই তিনি এ বইটা লিখেছেন বলেও রসিকতা করছেন তারা। অবশেষে বাধ্য হয়ে খালেদা-তারেক জিয়ার দেশবিরোধী ও দল বিরোধী কর্মকাণ্ডে এবার অতিষ্ঠ হয়ে দল থেকে তারেকের অস্তিত্ব মুছে ফেলার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। 

প্রসঙ্গত, নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে ১-১১ কুশীলবরা নির্বাচনকে শুধু বিলম্বিতই করতে চায় না, নির্বাচনকে ধ্বংস ও নস্যাৎ করতে চায়। এটি উপলব্ধি করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা খালেদা-তারেককে বাদ দিয়ে ফখরুলপন্থী নেতারা বি. চৌধুরী ও তার ছেলে মাহি বি চৌধুরীর হাতে দলের নেতৃত্ব তুলে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

⦽প্রকাশকাল: ২৮-সেপ্টেম্বর-২০১৮-১৮:৫২  ⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top