জি এম রাঙ্গা: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বগুড়ায় মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক)।
বগুড়ার বনানীতে অবস্থিত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়।
গত ৫ আগস্ট, গাক-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি আজ আমাদের সবার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি সদস্যের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করা এবং সবুজায়নের মাধ্যমে তাদের পুষ্টি ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”
আরও পড়ুন:
তিনি আরও জানান, মাসব্যাপী এই কর্মসূচিতে সারাদেশে গাক-এর সকল শাখার মাধ্যমে এক লক্ষাধিক সদস্যের মধ্যে ফলজ, বনজ ও ঔষধি—এই তিন ধরনের মোট চারটি করে গাছের চারা বিতরণ করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাক-এর সিনিয়র পরিচালক ড. মো. মাহবুব আলম বলেন, “একটি গাছ শুধু অক্সিজেনই দেয় না, এটি পরিবেশের তাপমাত্রা কমাতেও সহায়তা করে। এই কর্মসূচি গাক-এর সামাজিক দায়বদ্ধতারই একটি অংশ। আমরা আশা করি, আমাদের সদস্যরা এই চারাগুলো সযত্নে পরিচর্যা করে বড় করে তুলবেন, যা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম পরিচালক মো. রবিউল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক মো. জিয়া উদ্দিন সরদার। তারা বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে শুধু গাছ বিতরণ করা হচ্ছে না, বরং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জনগণকে সরাসরি সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতীকী হিসেবে ২০০ জনেরও বেশি সদস্যের হাতে বিভিন্ন জাতের গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়। গাক আশা করছে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশজুড়ে সবুজ বনায়ন বৃদ্ধি পাবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।